IIT Kharagpur: ‘ওকে খুন করা হয়েছে’, মর্গে গিয়ে দাবি IIT খড়গপুরের মৃত ছাত্রের বাবার
IIT Kharagpur: শনিবার বিকালে অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে পৌঁছান মৃত ফাইজান আহমেদের বাবা সেলিম আহমেদ, মা রেহানা আহমেদ, মাসি সালমা আহমেদ, মেশো রাশিদ আহমেদ এবং আত্মীয় কামরুল আহমেদ।
খড়গপুর: শুক্রবারই খড়গপুর আইআইটি-তে (Kharagpur IIT) ফয়াজ আহমেদ নামে ২৩ বছরের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি অসমে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশের এই স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Assam Chief Minister) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ফয়াজের পরিবার। এদিকে ছেলে কোনওভাবেই আত্মহত্যা (Suicide) করতে পারে না বলে দাবি মৃতের বাবা। ফয়াজকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। যা নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে শোরগোল।
সূত্রের খবর, শনিবার বিকালে অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে পৌঁছান মৃত ফাইজান আহমেদের বাবা সেলিম আহমেদ, মা রেহানা আহমেদ, মাসি সালমা আহমেদ, মেশো রাশিদ আহমেদ এবং আত্মীয় কামরুল আহমেদ। মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। হাসপাতালের মর্গে দেহ দেখার পরেই চিৎকার শুরু করেদেন ফয়াজের বাবা সেলিম আহমেদ। চিৎকার করতে করতে ছেলেকে খুনের দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে জ্বালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ওর গোটা শরীর পুরো জ্বলে গিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।” ফয়াজের দেহ দেখতে পাওয়ার পরেই তা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনার তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু বলা হয়নি।
২০১৮ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয় ফয়াজ। পরিবার সূত্রের খবর, ছেলের সঙ্গে তাঁদের ষবার কথা হয়েছিল মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ। মাসির সঙ্গেই কথা হয় ফয়াজের। তারপর থেকে আর কথা হয়নি। ছোট থেকে অসমে মাসির বাড়িতেই মানুষ হয়েছে ফয়াজ। সম্প্রতি মাসির বাড়িতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ফয়াজের যাওয়ার কথা থাকলেও সে যায়নি। কেন সে অনুষ্ঠানে গেল না তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে শেষবার মাসির বাড়িতে গিয়েছিল ফয়াজ। অগস্ট মাসে আবার সে খড়গপুর আইআইটিতে চলে আসে।