ঘাটাল: পুজোর আগে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের একটা বিস্তীর্ণ অংশ। ভেসে গিয়েছে জমির পর জমি। তারই প্রভাব পড়ল বাজারমূল্যে। দুর্গা পূজার মুখেই বাজারে গিয়ে দাম শুনে চমকে যাচ্ছেন মধ্যবিত্ত। সাধারণ সবজির যা দাম, সেটাও কিনতে গিয়ে দুবার ভাবতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। বাড়িতে যতটুকু প্রয়োজন, তার থেকে কম কিনে সামাল দিতে হচ্ছে। দুর্গা পূজার আগে এমনিতেই বাঙালির খরচ অনেক। তার ওপর শাক-সবজির দাম বাড়তে থাকায় বেড়েছে চিন্তা।
বিক্রেতারা সকলেই বলছেন, বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জেরেই যোগান কম, তাই এত বেশি দাম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার রেগুলেটেড বাজারে ঘুরে এমনই ছবি দেখা গেল। অনেকেই বলছেন সবজি বাজারে যে সমস্ত সবজি পাওয়া যাচ্ছে এই মুহূর্তে তার গুণগত মানও খুব একটা ভাল নয়, কিন্তু দাম একেবারে আগুন।
কাঁচা লঙ্কার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি, বেগুনের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা, ঝিঙের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিলো, করোলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কিলোদরে, ছোট আকারের ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, ছোট লাউ ডাটা ২০ টাকা, কুঁদরি ৫০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
বাজারে আসা এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, ‘বরবটির দাম ১০০ টাকা, বেগুনের দাম ১০০ টাকা প্রতি কেজি। ভয়ঙ্কর অবস্থা। কৃষকরাও বলছেন, তাঁদের জমিতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তাই জোগানের অভাব।’
কমে আবার দাম সাধ্যের মধ্যে আসবে, তা এখনও বলতে পারছেন ন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, ‘মালের জোগান নেই। পুজোর মুখে দাম আরও বাড়বে। বন্যার জন্য ফলন নেই বেশি। যা সবজি আসছে, তার মানও খুব ভাল নয়।’