Medinipur: স্ত্রীর রাগ ভাঙাতে জামাইষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সটান শ্বশুরবাড়িতে হাজির জামাই, তা বলে এসব! জামাইয়ের কীর্তিতে ঢি পড়ল গ্রামে
Medinipur:শেখ আমজাদের বাড়ি সবং ব্লকের ভেমুয়া অঞ্চল এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস আগে আমজেদের সঙ্গে ঝামেলা করে তাঁর স্ত্রীর বাবার বাড়িতে চলে যান। মঙ্গলবার রাতে আমজাদ তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শ্বশুর বাড়িতে যান। তারপরই রাতেই স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারক বিষয় নিয়ে বচসা হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুর: স্ত্রী ঝগড়া করে মাস খানেক আগেই বাপেরবাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। জামাইষষ্ঠীর দিনই রাগ ভাঙাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন জামাই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে আবারও ঝামেলা। রাতে খাওয়া সেরে জামাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। পরদিন সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে শ্বশুরবাড়ির অদূরে গাছ থেকে উদ্ধার হয় জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের মোহাড়ের মত্তব গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ আমজাদ (৪৫)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আমজাদের বাড়ি সবং ব্লকের ভেমুয়া অঞ্চল এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস আগে আমজেদের সঙ্গে ঝামেলা করে তাঁর স্ত্রীর বাবার বাড়িতে চলে যান। মঙ্গলবার রাতে আমজাদ তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শ্বশুর বাড়িতে যান। তারপরই রাতেই স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারক বিষয় নিয়ে বচসা হয়।
শ্বশুর বাড়িতে রাতে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে যান। সকালে জামাইকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তারপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরে পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ। মৃতের ভাই শেখ মইউদ্দিন বলেন, পারিবারিক অশান্তি ছিল। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।
