AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আত্মহত্যা নয়, খুন’, থানার কোয়ার্টারে নিজের ঘরে উদ্ধার পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ!

Murder: পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা করেননি সঞ্জীব, বরং তাঁকে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন একাধিক বলেই দাবি মৃতের পরিবারের

'আত্মহত্যা নয়, খুন', থানার কোয়ার্টারে নিজের ঘরে উদ্ধার পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ!
মৃত পুলিশ আধিকারিক, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 5:28 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: থানার কোয়ার্টারের মধ্যেই উদ্ধার পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body)। নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন সঞ্জীব চৌধুরী নামের ওই পুলিশকর্মী বলেই প্রাথমিক অনুমান মেদিনীপুর পুলিশের। যদিও, মৃতের পরিবারের দাবি আত্মহত্যা নয়, বরং খুন করা হয়েছে ওই আধিকারিককে। কেশপুরের পুলিশ কর্মীর এই মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।

মৃত পুলিশ আধিকারিকের পরিবার জানিয়েছে, পুরুলিয়ার বাসিন্দা সঞ্জয় চৌধুরী এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর থেকে বদলি হয়ে মেদিনীপুরে এসেছেন। সেখানেই নিজের পরিবার নিয়ে পুলিশ কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে, তিনি তাঁর নিজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। কিন্তু, সঞ্জীবের স্ত্রী ও সন্তান ছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। ফলে, কোয়ার্টারে একাই ছিলেন সঞ্জীব। রাত এগারোটা পর্যন্ত নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনেও কথা হয় তাঁর এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। মৃত পুলিশ কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, সঞ্জীব আত্মহত্যা করেননি, বরং তিনি খুন হয়েছেন। তাঁর মৃত্য়ুর নেপথ্যে বিষ্ণুপুরের এক সহকর্মী যুক্ত থাকতে পারেন বলে অভিযোগ।

মৃত সঞ্জীবের স্ত্রী ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেন, “আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারেন না। আমি মাথাগরম মানুষ, কিন্তু আমার স্বামী নন। তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমি বিশেষভাবে কারোর নাম করব না। আমার সঙ্গে কাজের ব্যাপারে কোনও সমস্যা হলে আলোচনা করতেন। শুক্রবার রাত এগারোটা পর্যন্ত আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আমার ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে তোড়জোড় চলছে। তাই আমি ছেলেকে নিয়ে এখন বাপের বাড়িতে রয়েছি। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের এক এসআই এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন। আগে যখন আমার স্বামী বিষ্ণুপুরে কর্মরত ছিলেন তখন ওই এসআইয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অশান্তি হয়েছিল। তারপরেই বদলির অর্ডার নেন আমার স্বামী। এখানে এসেও সেই এসআই পিছু ছাড়েননি হয়ত। তিনি এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন।”

মৃত পুলিশ আধিকারিকের শ্যালক রকি পাল বলেন, “জামাইবাবু খুন হয়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। শুক্রবার রাতেও আমার দিদির সঙ্গে জামাইবাবুর কথা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। ভীষণ হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। আমার বিয়ের তোড়জোড় করছিলেন নিজে। তাঁকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা জড়িত আমরা জানি না। দোষীর শাস্তি হোক।”

মেদিনীপুর পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন সঞ্জীব।তবে পারিবারিক অশান্তির জেরে নাকি কাজের চাপে মানসিক অবসাদে তিনি ভুগছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।

দিন কয়েক আগেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন এক  পুলিশ আধিকারিক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। কী কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই পুলিশকর্মী? ব্যাক্তিগত কারণ নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্যকোনও রহস্য রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।  আরও পড়ুন: ‘সোনার চাঁদ’ শ্যামের ৪ কোটি টাকার বিস্কুট-বাঁট রামের লকারে, চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের!