Ghatal: বয়স মাত্র ১৫! আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে মন্দিরে বিয়ে, খবর পাওয়া মাত্রই যুগলকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Ghatal: নাবালিকা স্ত্রীর সিঁথিতে সিঁদুরও দিয়ে দিয়েছিল নাবালক বর। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভিলেজ পুলিশের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত যুগলকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ঘাটালে।

ঘাটাল: প্রেমে পাগল মন খুঁজছিল বিয়ের স্বাদ। কিন্তু, আইন বলছে এখনও হয়নি বিয়ের বয়স। তারপরেও প্ল্যান করে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে চম্পটও দিয়েছিল যুগল। নাবালিকা স্ত্রীর সিঁথিতে সিঁদুরও দিয়ে দিয়েছিল নাবালক বর। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভিলেজ পুলিশের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত যুগলকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
সূত্রের খবর, মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫ বছরের এক নাবালকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এলাকারই এক নাবালিকা। তারও বয়স ১৫। সোমবার রাতের অন্ধকারেই বাড়ি ছাড়ে দু’জনে। পাশেই একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করে ফেলে। এদিকে খবর কানে গেলেও বর-বউয়ের খোঁজ পায়নি পরিবারের সদস্য। রাতভর এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত এলাকারই একটি বাড়ির চিলেকোঠায় তাদের দু’জনের দেখা মেলে। শোরগোলের মাত্রা আরও বেড়ে যায় এলাকায়।
খবর যায় ঘাটাল থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ। কিছু সময়ের মধ্যেই তুলে আনা হয় ওই নাবালক-নাবালিকাকে। এ বিষয়ে মনসুকা পঞ্চায়েতের প্রধান মিলনপত্র বলেন, “উভয় পক্ষের কাছ থেকেই মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে ওরা ১৮ বছর না হাওয়ার আগে বিয়ে না করার কথা বলেছে। এলাকা থেকেও পুরো বিষয়টা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ওদের থানায় নিয়ে গিয়েছে।”
