AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal: যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়বে বাড়িটা, ঝুলছে একমাত্র সাঁকোটাও, জলের শব্দে বুক কাঁপছে ঘাটালবাসীর

Ghatal: কয়েকদিন আগেই উপকূলের কাছে আছে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। তার প্রভাবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল একাধিক এলাকা।

Ghatal: যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়বে বাড়িটা, ঝুলছে একমাত্র সাঁকোটাও, জলের শব্দে বুক কাঁপছে ঘাটালবাসীর
বাঁধে নামতে পারে ধসImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2024 | 12:00 PM
Share

ঘাটাল: শীত প্রায় দরজার কাছে হাজির। গত কয়েকদিনে বৃষ্টিও হয়নি তেমন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে ঘাটালে। কালীপুজোর সময় কীভাবে ভেলায় ভেসে মণ্ডপে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা, সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সেই আতঙ্ক কাটছে না এখনও। ঘাটালের যে ছবি সামনে আসছে, তাতে ঘুম উড়েছে ঘাটালবাসীর। একটি পাকা বাড়ি এমনভাবে ঝুলছে, যা দেখেই মনে হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভেসে যাবে।

সোমবার এমনই ছবি দেখা গেল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর পশ্চিম এলাকায়। পাশে মাঠ ভর্তি বন্যার জল। আর জল কমতেই মাঠের জলেই বড় হচ্ছে ‘হানা’। সেই ‘হানা’ দিয়েই জল যাচ্ছে শিলাবতী নদীতে। জলের তোড়ে বাঁধের যে অংশ ভেঙে যায়, তাকে হানা বলে। সোঁ সোঁ করে জলের শব্দ শোনা যাচ্ছে কান পাতলেই। ধস নামা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আর সেই ধসে যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে একতলা পাকা বাড়ি। যাতায়াতের একমাত্র সাঁকোও তলিয়ে যেতে পারে যে কোনও সময়। আতঙ্কে এলাকার মানুষজন।

কয়েকদিন আগেই উপকূলের কাছে আছে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। তার প্রভাবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল একাধিক এলাকা। মাঠ ভর্তি রয়েছে বন্যার জল, শিলাবতী নদীর জল কমতেই দাসপুর ১ নং ব্লকের রাজনগর পশ্চিম এলাকায় মাঠের হানা বরারর মাঠের জল ঢুকছে শিলাবতী নদীতে। পাকা বাড়িটি ফাঁকা করে চলে গিয়েছেন বাসিন্দারা। আর সাঁকোটা ভাঙলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে একাধিক গ্রামের সঙ্গে। তাই আতঙ্কে এলাকার মানুষ জন।

বাসিন্দারের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও হানা বাঁধানোর কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। সোমবার সকালে বাসিন্দারা বলেন, যেভাবে জল যাচ্ছে, তাতে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেসে যাবে বাড়িটি।