Paschim Medinipur : খাস জায়গায় ঘর তৈরিতে বাধা তৃণমূল কর্মীদের, অসহায় পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Paschim Medinipur : চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোনা এলাকায় থাকা খাস জায়গায় বাড়ি তৈরি করছিলেন উত্তম দাস। তাতেই বাধা দেন তৃণমূল (Trinamool) কর্মীরা।
চন্দ্রকোনা : পৌরসভার খাস জায়গায় বাড়ি করা নিয়ে সমস্যা। উঠে এল নানা মুনির নানা মত। আবার তৃণমূল (TMC) নেতাদের বিরুদ্ধে খাস জায়গা বিক্রির অভিযোগ তুলল এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে খারাপ জায়গায় বাড়ি করার অপরাধে টানতে টানতে কয়েকজনকে নিয়ে গেল থানায়। পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই। রয়েছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, কিন্তু নেই নিজস্ব জায়গা। তাই সরকারি খাস জায়গার উপরেই তৈরি করছিলেন থাকার ঘর। চালা তৈরি করতে গিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের বাধার মুখে পড়ল অসহায় পরিবার। খবর গেল পুলিশে। সরকারি জায়গায় বাড়ি করার অপরাধে ওই বাড়ির সদস্যদের টান টানতে নিয়ে গেল থানায়। এতেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোনা গ্রামে। এলাকাবাসীদের দাবি, তাঁদের এলাকারই কিছু তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিচ্ছে। কারণ তারা এই জায়গায অন্য ব্যক্তিকে বিক্রি করবে।
সূত্রের খবর, চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোনা এলাকায় থাকা খাস জায়গায় বাড়ি তৈরি করছিলেন উত্তম দাস। তাঁকে সাহায্য করছিলেন দেবপাল ধাড়া, সুকুমার ধাড়ারা। তাঁদের দাবি, কিছুদিন আগে এখানে একটি চালা ঘর ছিল। সেই চালা ঘরটি ভেঙে যাওয়ার পরেই তাঁরা আবার নতুন করে চালা ঘর তৈরি করতে শুরু করলেই শুরু হয় সমস্যা। স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে আবার খাস জায়গা দখলের অভিযোগ তুলে গ্রামেরই এক ব্যক্তি লক্ষীকান্ত সন্ন্যাসী চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তমদের নামে। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ চারজনকে আটক নিয়ে য়ায়। যদিও উত্তম দাসের দাবি, সেখানে তাঁরা দীর্ঘদিন থেকেই থাকছেন। ঘরের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে বর্তমানে তা মেরামতি করছিলেন। কিন্তু, সে কাজে বলপূর্বক বাধা দেয় তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই ব্যক্তি ওখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু, এখন কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ওই জায়গাটা বিক্রি করবে বলে ওই অসহায় মানুষকে বাড়ি করতে দিচ্ছে না। চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র বলেন, কেউই তাঁর কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জানায়নি। তবে পুরো বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, পৌরসভার জায়গায় কেউ এইভাবে বাড়ি করতে পারে না। পুরো বিষয়টি কাউন্সিলরকে দেখতে বলা হয়েছে।