Burdwan: ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ৩৫ টাকা খরচা করেন, রাতারাতি আজ কোটিপতি ডলি বিবি! অবিশ্বাস্য কাহিনী
Burdwan Lottery: এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারে নেমে আসে আনন্দের জোয়ার। ডলি বিবির পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে রাজমিস্ত্রির কাজ করে কষ্টের সঙ্গে সংসার চালাচ্ছেন।

বর্ধমান: মাত্র ৩৫ টাকার একটি লটারি টিকিটই রাতারাতি বদলে দিল এক রাজমিস্ত্রি পরিবারের জীবন। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার বেলাড়ি গ্রামের গৃহবধূ ডলি বিবির ভাগ্যে খুলে গেল এক কোটি টাকার পুরস্কার। শনিবার ডলি বিবি ডাক্তার দেখাতে গুসকরা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা নাগাদ বড়া চৌমাথা মোড়ে একটি লটারি কাউন্টার থেকে ৩৫ টাকা দিয়ে একটি লটারি টিকিট কেনেন। বাড়ি ফিরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফলাফল জানতে পেরে চমকে ওঠেন তাঁর টিকিটেই উঠেছে প্রথম পুরস্কার, এক কোটি টাকা।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারে নেমে আসে আনন্দের জোয়ার। ডলি বিবির পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে রাজমিস্ত্রির কাজ করে কষ্টের সঙ্গে সংসার চালাচ্ছেন। সামান্য আয়ের উপর ভরসা করে এবং মাত্র ১৫ কাটা জমিতে ভাগচাষ করে কোনওরকমে চলে তাঁদের জীবন। বহু বছরের পরিশ্রমে একটি পাকা বাড়ি তৈরি করতে পেরেছেন ।
ডলি বিবি জানান, এই টাকা দিয়ে তিনি প্রথমেই ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চান। পড়াশোনা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু জমি কেনার ইচ্ছার কথাও জানান তিনি। ডলি বলেন, “সত্যিই এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি কখনই ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে। এমনিই একটা টিকিট কেটেছিলাম। কিছু না ভেবে। তারপর যখন শুনি, এমনটা হয়েছে, আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।”
এদিকে, ৩৫ টাকার লটারি টিকিটে কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বড়া চৌমাথা মোড়ের ওই লটারি কাউন্টারে টিকিট কাটার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভাগ্য ফেরানোর আশায় ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
