AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Bardhaman : দড়ি দিয়ে বেঁধে ছোট্ট শিশুকে বেধড়ক মার মহিলার, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল বর্ধমানে

Purba Bardhaman : সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো-তে দেখা যাচ্ছে, নারকেল দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে একটি বাড়ির সিঁড়ির নীচে ফেলে রাখা হয়েছে। তা দেখেই আঁতকে উঠছেন সকলে।

Purba Bardhaman : দড়ি দিয়ে বেঁধে ছোট্ট শিশুকে বেধড়ক মার মহিলার, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল বর্ধমানে
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2023 | 11:05 AM
Share

পূর্ব বর্ধমান: চোর সন্দেহে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হচ্ছে ছোট্ট শিশুকে। চড় মারছেন এক মহিলা। অঝোরে কেঁদে চলেছে শিশুটি (Child)। কিন্তু, তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই মহিলার। উল্টে লাগাতার শিশুটির দিকে আঙুল উঁচিয়ে ধমক দিয়ে চলেছেন তিনি। পাশে দাঁড়ানো কয়েকজন মহিলাও সমর্থন করছেন ওই মহিলাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। যা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতরও শুরু হয়েছে জেলার নাগরিক মহলে। খবর যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মধুমিতা মল্লিক। বাড়ি শহরের বিসি রোডের খানপাড়ায়।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নারকেল দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে একটি বাড়ির সিঁড়ির নীচে ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানেই এক মহিলা কখনও তার চুলের মুঠি ধরছেন ঝাঁকাচ্ছেন, কখনও আবার চড় মারছেন। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি বলেই চলেছে, “আমি কিছু জানি না’। তার কথায় কর্ণপাত না করে শিশুটিকে চড় মেরে মহিলাতে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আবার মিথ্যা কথা। কান্না না থামালে আরও মার খাবি।” পাশে দাঁড়ানো কয়েক জন মহিলা বলছেন “এরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পুলিশকে দিলে ছেড়ে দেবে।” একজন বলে ওঠেন, “সবাই ভাল করে মুখটা দেখে রাখ। দরজা খুলে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে।”

বর্ধমান থানার দাবি, শিশুটির সঙ্গে কয়েক জন কিশোর ছিল। তারা ফাঁকা একটি বাড়িতে ঢুকেছিল। তাড়া খেয়ে বড়রা পালিয়ে গেলেও শিশুটি আটকে পড়ে। তারপরই তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। তবে শিশুটির আসল বয়স এখনও জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান ছেলেটির বয়স খুব বেশি হলে ৪ থেকে ৫ বছরের আশেপাশে হবে। খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে তাকে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধৃত মহিলাকে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে পুলিশের তরফে।