Burdwan: ১০৭ জন রোগীর দেখভালে ১ জন নার্স! হাসপাতালে গিয়ে ক্ষোভের মুখে বিধায়ক
Burdwan Hospital: একজন নার্সের কণ্ঠে উঠে আসে ক্ষোভ—“এখানে ১০৭ জন রোগীর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে একজনকেই। এভাবে কতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?” রোগীর পরিজনরাও বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন।

বর্ধমান: মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নার্স সঙ্কট, পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগ শুনলেন বিধায়ক। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের সুর। রবিবার হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে এসে সমস্যার আঁচ পেলেন স্থানীয় বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। অভিযোগ, পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় একেকজনকে শতাধিক রোগীর দেখভালের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে প্রতিদিন ভরসা করে দূরদূরান্ত থেকে আসেন শতাধিক রোগী। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, দীর্ঘদিন ধরে নার্সের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। কর্মরত নার্সরা জানান, “বেডের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই রোগীর চাপও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু নার্স নিয়োগ না হওয়ায় পরিষেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
একজন নার্সের কণ্ঠে উঠে আসে ক্ষোভ—“এখানে ১০৭ জন রোগীর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে একজনকেই। এভাবে কতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?” রোগীর পরিজনরাও বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। তারা অভিযোগ করেন, নার্সের ঘাটতির কারণে পরিষেবার মান মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য আশ্বাস দেন, বিষয়টি তিনি স্বাস্থ্য দফতরে তুলে ধরবেন। এই ঘটনায় শাসকদলকে একহাত নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের হাল বেহাল। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।” তবে তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “নার্সের সংখ্যা কম হতে পারে। তবে একেবারে নেই এটা ঠিক নয়।পূর্ব বর্ধমানে এরকম ঘটনা নেই কোন হাসপাতালে।”
