Burdwan: গোষ্ঠীকোন্দলে তপ্ত বর্ধমান, হল বোমাবাজি
Burdwan: এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি। বোমা মারা হয় দলীয় কার্যালয়ের পাশে। কাছেই ব্লক সভাপতির বাড়ি। বুধবার সকালে গেড়াই গ্রামের মাঠে দু'টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। বিকেলে সিআইডি বোম স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়ে দু'টি তাজা বোমাকে নিক্রিয় করে।

বর্ধমান: শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। মঙ্গলবার রাতে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গেড়াই গ্রামে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে চরম অশান্তি বাধে। হয় বোমাবাজি। ঝামেলায় আহত হন ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালন । গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজিতে তপ্ত হয় গোটা এলাকা।
এলাকায় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে স্থানীয় শাসকদলের কার্যালয়টি ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের গোষ্ঠীর দখলে আছে। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকেরা সেটি দখলের জন্য আসে। দু’পক্ষে বচসা থেকে সংঘাত শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি গোলাম মোল্লা জানান, কয়েকজন দুষ্কৃতীরা এখানে ঝামেলা শুরু করে। ব্লক সভাপতি তাদের থামাতে গেলে তার গায়ে হাত দেওয়া হয়। মারা হয় তার ছেলে দলের যুব নেতা শেখ সঞ্জুকেও।
এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি। বোমা মারা হয় দলীয় কার্যালয়ের পাশে। কাছেই ব্লক সভাপতির বাড়ি। বুধবার সকালে গেড়াই গ্রামের মাঠে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। বিকেলে সিআইডি বোম স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়ে দু’টি তাজা বোমাকে নিক্রিয় করে।
আউশগ্রাম ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুই জানান, এলাকায় উন্নয়নের ধারায় কিছু মানুষ বাধা দিতে চাইছে। তারা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে। তারা কিছুদিন আগেও অন্যদল করত। এখন বিধায়কের লোক পরিচয় দিয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছে।
অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। গ্রামের বাসিন্দা হারু মোল্লারা বলেন, “বোমাবাজিতে বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। এলাকায় কিছু লোক অশান্তি পাকাচ্ছে।”
আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি কলকাতায় আছি। ৯ তারিখ থেকে বাদল অধিবেশনের জন্য কলকাতায় এসেছি । গেঁড়াই গ্রামে কী হয়েছে আমি জানি না ।এলাকায় পুলিশ পাহারা রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”





