Khokhon Das: ‘বউকে চাকরিতে ঢুকিয়ে নিজেরা পার্টি করতেন’, সিপিএম নেতাদের তোপ তৃণমূল বিধায়কের
TMC MLA: রবিবার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাস চাকরি কাণ্ড নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএমকে।
বর্ধমান: চাকরি কাণ্ডে বিধায়ক মদন মিত্রের সুরে গলা মেলালেন বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাস। রবিবার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাস চাকরি কাণ্ড নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএমকে। রবিবার বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “আজ সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। ১৪ বছর বয়স থেকে কংগ্রেস রাজনীতি করছি। আমরা দেখেছি কাগজের টোকেন দিয়ে সিপিএমের লোকেদের চাকরি হয়েছে। আজ যদি চাকরির হিসাব করতে তাহলে সরকারি কর্মচারী আর কোন সিপিএমের লোক থাকবে না। কারণ অধিকাংশ সিপিএমের লোকেরা দু’নম্বরি করে চাকরি নিয়েছে। সমস্ত জায়গায় বৌকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়ে আপনি পার্টি করেছেন। তৃণমূলের লোকেরা চাকরি পেলেই বলবে বেআইনি ভাবে চাকরি হয়েছে। ৩৪ বছর বাংলায় কোন নিয়ম শৃঙ্খলা ছিল না। সিপিএম শুধু মিটিং মিছিল করিয়েছে আর পাঁচ কেজি গমের জন্য লাইন দেওয়া করিয়েছে। বাংলার মানুষকে বড় বড় কথা বলে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।” পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদেরও একহাত নেন বিধায়ক খোকন দাস। রবিবার বর্ধমান শহরের ২৫ নং তৃণমূল কংগ্রেসের একটি রক্তদান শিবিরে এই মন্তব্য করেছেন খোকন দাস।
এই বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “চোরকে যখন মানুষ তাড়া করে তখন চোরও বাঁচার জন্য চোর চোর বলে চিৎকার করে। এখন তৃণমূলের এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন তার আলমারিতে সব ফাইল রাখা হয়েছে। সেই ফাইল এখন চিরকুটে পরিণত হয়েছে। সেই আলমারি বের হয় নি,আর ফাইলও বের হয় নি।এত মিডিয়াতে ভাষণ দেওয়ার কি আছে।তদন্ত করে বের করুন।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “বাংলার মানুষ সব জানে। লাল ঝাণ্ডা যাঁরাই ধরেছেন তাঁরাই চাকরি পেয়েছেন। সিপিএমের কোন নেতা বেকার ছিলেন না। সবাই রোজকার করতেন।”