Bardhaman Station: ভয় বাড়ছে বর্ধমান স্টেশনের আরও এক ব্রিটিশ আমলের ট্যাঙ্কে, বড় নির্দেশ দিল রেল
Bardhaman Station: প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যে ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়েছে সেটি বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মধ্যে ছিল। সেটির বয়স আরও পুরনো। সূত্রের খবর, ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল ১৮৯০ সালে। বুধবার দুপুরে ১৩৩ বছরের পুরনো এই ট্যাঙ্কটিই আচমকা ভেঙে যায়।
বর্ধমান: কয়েকদিন আগেই বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বর্ধমান স্টেশন। আচমকা ভেঙে পড়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি বিশালাকাল জলের ট্যাঙ্ক। ব্যস্ত সময় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৩ জনের। আহত হয়েছিলেন বহু। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। এবার এ ঘটনায় অবশেষে টনক নড়ল রেল কর্তৃপক্ষের। স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে ১৯৩৫ সালে তৈরি একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও শুরু হয়েছে তৎপরতা। ওই ট্যাঙ্ক লাগোয়া এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, দোকানদারেরা রয়েছেন তাঁদের অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে রেলের তরফে। তাতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। আচমকা এই নির্দেশের পর বস্তির লোকজন কোথায় যাবেন তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। চাপে পড়েছেন দোকানদারেরাও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যে ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়েছে সেটি বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মধ্যে ছিল। সেটির বয়স আরও পুরনো। সূত্রের খবর, ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল ১৮৯০ সালে। বুধবার দুপুরে ১৩৩ বছরের পুরনো এই ট্যাঙ্কটিই আচমকা ভেঙে যায়। ট্যাঙ্কটির দু’দিকের লোহার চাদর ভেঙে ছাত্রখান হয়ে যায়। জলের তোড়ে তাণ্ডবলীলা চলে গোটা প্ল্যাটফর্ম চত্বরেই। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৩৯ জনকে। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও ভর্তি ১১ জন। এ ঘটনার পর থেকেই প্ল্যাটফর্ম চত্বরের সুরক্ষায় বিশেষ নজর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই ৮ নম্বর প্লাটফর্মে থাকা জলের ট্যাঙ্কটিকে নিয়েও দেখা যাচ্ছে তৎপরতা।
প্রসঙ্গত, ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া একটি ছোট বস্তি। দীর্ঘদিন থেকেই সেখানে রয়েছে কিছু পরিবার। কয়েকজন হকারও বসেন ওই ট্যাঙ্ক লাগোয়া এলাকায়। কিন্তু, নির্দেশ এলেও এত দ্রুত তাঁরা কথা সরে যাবেন সে নিয়ে পড়েছেন ফাঁপড়ে। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল চৌধুরী বলছেন, “ওই ঘটনার পর আচমকা আরপিএফের লোকজন এসে বলে যায় এলাকা খালি করার জন্য। নোটিশ দিয়ে গিয়েছে। সেটায় কোনও স্ট্যাম্প নেই। হাতে লেখা। এখন এত দ্রুত শীতের মধ্যে সবাই কোথায় যাবে। একটু তো যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া উচিত। ওনারা হয়তো ঠিক কথাই বলছেন। কিন্তু, কোথাও একটা থাকার জায়গা দিলে ভাল হত।“