Fraud Case: বাড়িতেই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিল ধুরন্ধর মা ও ছেলে! ঘরে বসেই জেলার মাঝবয়সীদের লোভ দেখাতেন তাঁরা…

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 20, 2023 | 4:32 PM

Fraud Case: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে গজিয়ে ওঠা খড়দার সোদপুর এলাকায় হেড অফিস থেকে সমস্ত জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

Fraud Case: বাড়িতেই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিল ধুরন্ধর মা ও ছেলে! ঘরে বসেই জেলার মাঝবয়সীদের লোভ দেখাতেন তাঁরা...
গ্রেফতার মা ও ছেলে

Follow Us

কাটোয়া: টাওয়ার বসিয়ে টাকা আয়ের টোপ দিয়ে প্রতারণার চক্র সক্রিয় গোটা রাজ্যজুড়ে। এইরকম একটি ধুরন্ধর চক্রের সন্ধানে নেমে জাল পেতে মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ।সন্ধান মিলেছে ভুয়ো অফিসেরও। জানা গিয়েছে, ফোনের সূত্র ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চার বছর ধরে গজিয়ে ওঠা প্রতারণা চক্রের অফিস সিল করে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন থানা এলাকার  মানুষদের বোকা বানিয়ে টাওয়ার তৈরি করে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করার ঘটনা সামনে আসতেই গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বারাসতের মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম, বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী। ধৃতদের ১৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে জামালপুর থানার পুলিশ পুলিশি হেফাজতে নেবার আবেদন জানায়। চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। ওই কোম্পানিটির পাশাপাশি আরও তিনটে অফিস সিল করে উদ্ধার কাজ চালিয়েছে পুলিশ।

বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী সোমবার সকাল ১১ টায় জামালপুর থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সতেরটা ল্যাপটপ, দশটা চার্জার, ডেক্সটপ চারটে, ট্যাব দুটো, মোবাইল সাতটা, পেনড্রাইভ পাঁচটা, সিম স্লট পনেরোটা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার একটি, হার্ডডিস্ক দুটো, সিডি পাঁচটা, প্রচুর পরিমাণে স্ট্যাম্প পেপার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেল রেজিস্টার-সহ রেজিস্টার বুক উদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে গজিয়ে ওঠা খড়দার সোদপুর এলাকায় হেড অফিস থেকে সমস্ত জিনিস উদ্ধার হয়েছে। মধ্যমগ্রাম বারাসত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বারাসত এলাকায় আরও তিনটি অফিস থাকায় সেগুলিকেও সিল করা হয়েছে।
জামালপুর থানার পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিষ্ণুবাটি এলাকার এক বাসিন্দা গত বছরের ১৩ নভেম্বর একটি জামালপুর থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করেন, টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওই ঘটনায় জামালপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তকারী অফিসাররা চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বারাসত মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী নামে মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন,এই নয়া কায়দার প্রতারণার মূল সূত্রে পৌঁছাতে তৎপর পুলিশ।

Next Article