Maoist leader Arnab Dam: হুগলি থেকে এবার বর্ধমান, পিএইচডি পাকা হতেই বদলে গেল মাও নেতা অর্ণবের জেল
Maoist leader Arnab Dam: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অর্ণবের পিএইচডি করা নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জটিলতা চলছিল। তিনি যখন ইন্টারভিউতে বসছেন তখন তা নিয়েও হয়েছিল বিস্তর চর্চা। রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় একেবারে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন অর্ণব।
বর্ধমান: দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে অবশেষে মিলছে পিএইচডি-র সুযোগ। কেটেছে জটিলতা। সবুজ সংকেত এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। তাঁর জেল বদল নিয়েও জল্পনা শোনা যাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। অবশেষে সেটাই হচ্ছে বলে খবর। মাও নেতা অর্ণব দামকে হুগলির জেলা সংশোধনাগার চুঁচুড়া থেকে নিয়ে আসা হল বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে। চূড়ান্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই এদিন বেলা ১২ টার সময় অর্ণব দামকে হুগলির জেলা সংশোধনাগার থেকে বের করা হয়। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সোজা নিয়ে চলে যাওয়া হয় বর্ধমানের উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অর্ণবের পিএইচডি করা নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জটিলতা চলছিল। তিনি যখন ইন্টারভিউতে বসছেন তখন তা নিয়েও হয়েছিল বিস্তর চর্চা। রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় একেবারে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন অর্ণব। ভর্তিও নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু, মাঝে আচমকা এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পিএইচডি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কানাঘুষো শোনা যায়, উপাচার্যই নাকি ‘অন্তরায়’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও জট কাটাতে মাঠে নামতে দেখা যায় কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, অখিল গিরিদের। শনিবার রাতেই জানা যায় কেটে গিয়েছে জট। রাতেই দেওয়া হয় ভর্তির নোটিস।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন পুলিশি প্রহরায় ইন্টারভিউয়ের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন অর্ণব। গত ৫ জুলাই সামনে আসে মেধা তালিকা। তাতেই দেখা গিয়েছিল ২৪৯ জনকে পিছনে ফেলে একেবারে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন অর্ণব। কিন্তু কেন তারপরেও তাঁর পিএইচডি আটকানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠতে থাকে।