Howrah Businessman Murder: খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল বন্ধুর সামনেই, হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে বড় ‘ব্রেক থ্রু’

Raina Murder: সব্যসাচী মণ্ডল এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান। তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল।

Howrah Businessman Murder: খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল বন্ধুর সামনেই, হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে বড় 'ব্রেক থ্রু'
হাওড়া ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার আরও এক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2021 | 9:04 AM

রায়না: বন্ধুর সামনেই জ্যেঠতুতো দাদাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন ভাই। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে বড় ব্রেক থ্রু পেল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনে মূল অভিযুক্ত সোমনাথের ঘটনার দিন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সোমনাথ বাইক চালাতে ভালবাসতেন। তাঁর বন্ধুর বয়ান অনুযায়ী, তাঁরা বাইকেই গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলেন। পথে ডানকুনিতে একটি ধাবায় খাওয়ার খেয়েছিলেন। তাঁর বন্ধুর বয়ান অনুযায়ী, সেদিন সোমনাথ ছ’জনের খাবারের বিল মিটিয়েছিলেন। সে নিয়ে সোমনাথকে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর বন্ধু। তখন সোমনাথ তাঁকে জানিয়েছিলেন, ওই ছ’জন তার কারখানারই শ্রমিক। তাঁদের টাকাপয়সার সমস্যা রয়েছে, তাই খাবারের বিল মিটিয়েছেন। এরপর ওই ছ’জনের সঙ্গে দূরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সোমনাথ। তারপর তাঁরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। গ্রামের বাড়ির অদূরেই একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন সোমনাথের বন্ধু। ওই গাড়িতেও ওই ছ’জনই ছিল। সেখানেও ওদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সোমনাথ। তারপর তারা এলাকা থেকে চলে যায়। সোমনাথও তাঁর বন্ধুকে বাড়িতে অনেক লোকজন রয়েছে, এই ছুতো দেখিয়ে নিয়ে চলে যান। তারপরই এই ঘটনা।

পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে সোমনাথের বন্ধুর উপস্থিতি দেখেছেন। গাড়ি ও বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে গ্রামের বাড়ির অদূরে খেত থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই অস্ত্রই খুনে ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা. তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই খুনে ধৃত সুপারি কিলার রিকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সোমনাথের বন্ধুকেও ফোন করে বড় সূত্র পেয়েছে পুলিশ। সব্যসাচী মণ্ডলের খুনে সুপারি কিলার নিয়োগ করেছিলেন, তিনি এখনও বেপাত্তা।

গত মাসেই কলকাতার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুন হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গ্রামের বাড়িতে। বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিনের ব্যবসা রয়েছে।

সব্যসাচী মণ্ডল এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান। তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক তাঁকে ছাদ থেকে নীচে ডেকে নিয়ে যান। সব্যসাচীর খোঁজে কেউ এসেছেন বলে গাড়ি চালক জানান।

পরিবারের দাবি, তারপরই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্ন্যাল। তাঁরাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও রাঁধুনি, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল একটি চাঞ্চল্যের দাবি করে বসেন। তাঁর দাবি, তাঁদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ চলেছে। ২০১৬ সালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর ভাইপোরা তাঁর ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করেন।

সব্যসাচীর বাবার ধারণা ছিল, তাঁর দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তাঁর ছেলেকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করিয়েছেন। রায়না থানায় তাঁর ছোট ভাই গৌরহরি মন্ডল, ভাতৃবধু পূর্ণিমা মন্ডল, ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে বৃদ্ধর ধারণা যে নেহাতই অমূলক নয়, তার ,তথ্য পেতে থাকেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: আরও নামল তাপমাত্রা! বঙ্গে এখন শীতের আমেজ