Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman: ‘…সব করতে পারি’, বর্ধমান থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে মহিলা আইনজীবীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ, ‘নষ্ট’ হয়ে গেল গর্ভস্থ সন্তান

Bardhaman: অভিযোগ, এরপরই মহিলার পেটে লাথি মারেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা জানারও পরও রেয়াত করা হয়নি তাঁকে বলে দাবি। একসময় অজ্ঞান হয়ে যান। মারধর করা হয় মহিলার সঙ্গে থাকা বাকি পরিবারের সদস্যদেরও।

Bardhaman: '...সব করতে পারি', বর্ধমান থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে মহিলা আইনজীবীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ, 'নষ্ট' হয়ে গেল গর্ভস্থ সন্তান
অভিযোগকারিণী আইনজীবী Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2025 | 10:44 PM

বর্ধমান: পুলিশ পরিচয় দিয়ে মহিলা আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর পেটে লাথি মারার অভিযোগ। গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও প্রথমে তা না নেওয়ার অভিযোগ। পরে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও কপি বা জেরস্ক দেওয়া হয়নি বলে দাবি নির্যাতিতার। যদিও পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেনন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বর্ধমান থানার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হল বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার সন্ধেয় আইনজীবী ও বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা,সিনিয়র আইনজীবী ও তৃণমূল নেতা অরূপ দাস ও প্রদীপ আইচ এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। তাঁদের দাবি, দোলের দিন মহিলা আইনজীবী, তাঁর স্বামী, দিদি-জামাইবাবু বর্ধমান আর্কেডের কাছে যান।

অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের স্টিকার লাগানো বাইকে দু’জন অজ্ঞাত পরিচয় ছেলে আইনজীবীর গাড়িকে ধাক্কা মারে। তখনই প্রতিবাদ করেন মহিলা। এরপর অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মহিলা আইনজীবীর ঘাড় ধরে নামান। তিনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে অভিযুক্ত যুবক নাকি বলেন, “আমি বর্ধমান থানার পুলিশ। আমি সব করতে পারি।”

অভিযোগ, এরপরই মহিলার পেটে লাথি মারেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা জানারও পরও রেয়াত করা হয়নি তাঁকে বলে দাবি। একসময় অজ্ঞান হয়ে যান। মারধর করা হয় মহিলার সঙ্গে থাকা বাকি পরিবারের সদস্যদেরও।

মহিলা আইনজীবীর অভিযোগ,এরপর তাঁরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। অসুস্থতা বাড়লে থানা থেকে হাসপাতালে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ। এ দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তারা জানায় পুলিশের রিপোর্ট বা ফোন না পেলে ভর্তি করবেন না। পরবর্তীতে আইনজীবী অন্যত্র চিকিৎসা করালে জানতে পারেন তাঁর সন্তান বেঁচে নেই। এরপর ফের থানায় গেলে আবার দীর্ঘক্ষণ তাকে বসিয়ে রাখা হয় বলে দাবি মহিলার। এরপর থানা অভিযোগ নিলেও কোনও রিসিভ কপি বা জেরস্ক দেয়নি।

এ দিকে, ওই আইনজীবী বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনকে অভিযোগ জানান। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, “বুধবার কোর্টে পেন ডাউন করল তারা। আর তিনদিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বৈঠক ডেকে বড় সিদ্ধান্ত নেব।” অন্যদিকে মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসা না করার অভিযোগ নিয়ে জানান,তাঁরা সবদিক খতিয়ে দেখেই এ সম্পর্কে যা বলার বলতে পারবেন।

আক্রান্ত আইনজীবী বলেন, “আমার গাড়িতে বাইক নিয়ে ধাক্কা মারে। বলেছিলাম ভাই একটু আস্তে গাড়ি চালা। নয়ত তোরাও মারা পড়বি আমরাও মারা পড়ব। এরপর যখন আমার স্বামী প্রতিবাদ করল তখন আরও মারতে শুরু করল। আমার স্বামী ওদের জানায় আমি অন্তঃসত্ত্বা। সেটা শুনে ওই ছেলে গুলো বলল তোর এইভাবে মারা যাবি। পুলিশি সহযোগিতা পাইনি।”