সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় ঝড় তুলেছিলেন, বিপদ ঘনিয়ে আসে পিছন থেকেই! দু’পায়েরই হাড় ভাঙল যুবকের

Purbo Bardhaman: বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে এলোপাথাড়ি মার। ভেঙে দেওয়া হয় এক যুবকের দুটি পা।

সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় ঝড় তুলেছিলেন, বিপদ ঘনিয়ে আসে পিছন থেকেই! দু'পায়েরই হাড় ভাঙল যুবকের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 7:02 AM

বর্ধমান: সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন। বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করছিলেন দোকানি ও অনান্যদের সঙ্গে। সেই সময়ই অতর্কিতে হামলা। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে এলোপাথাড়ি মার। ভেঙে দেওয়া হয় এক যুবকের দুটি পা। প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় আরেক পক্ষও! বুধবার সন্ধ্যায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে পূর্ব বর্ধমানের গলসি।

বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় গলসি থানার বোলপুর গ্রামে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এলাকার দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ পুরনো। এদিন নতুন করে তা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আহত তৃণমূল কর্মী শেখ বদরুদ্দজার বয়ান অনুযায়ী, বুধবার রাতে কয়েক জনের সঙ্গে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী তাঁর ওপর লাঠি ও রড নিয়ে হামলা চালান। এর ফলে তাঁর দুটি পা ভেঙে গিয়েছে এবং একটি হাতেও চোট লেগেছে।

হামলাকারীরা শেখ জাকির গোষ্ঠীর লোকজন বলে অভিযোগ করেন আহত তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় আহত আরও এক তৃণমূল কর্মী শেখ ছোটন জানিয়েছেন, এলাকার দখল নেওয়ার জন্যই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছেন সেখ জাকির গোষ্ঠীর লোকজন।

আহত কর্মীরা এলাকার তৃণমূল নেতা জনার্দন গোষ্ঠীর বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে লড়াইয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক জন। লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরে তাঁর দুটি পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর গোষ্ঠীর কর্মীদের বিরুদ্ধে । গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে আহত তৃণমূল কর্মীকে। গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বিঁধেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। তৃণমূলের এই লড়াই অবৈধ বালিখাদের দখলদারির লড়াই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শ্যামল রায়। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসাবে মানতে নারাজ। তৃণমূলে কোন গোষ্ঠী নেই বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, “একুশের বিধানসভা ভোটের পর সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই তৃণমূল কর্মী। কী হয়েছে, খোঁজ নিতে হবে। যদি কারোর কোনও অভিযোগ থাকে, থানায় অভিযোগ করুন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। গোষ্ঠীর ব্যাপার নয়, ব্যক্তিগত কারণ থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে দলকে টানা ঠিক নয়। ” তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে থমথমে এলাকা। রাস্তাঘাট শুনশান, দোকানপাটও বন্ধ। এলাকার অনেক ব্যক্তিই ঘরছাড়া। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভিড় এড়াতে জেলাশাসকদের নয়া ফর্মুলা দিল নবান্ন