Raju Jha Murder Case: হাজারিবাগ সংশোধনাগারে বসেই কি ছকা হয়েছিল গোটা পরিকল্পনা? রাজু ঝা খুনের নেপথ্যে গ্যাংস্টার আমন
Raju Jha Murder Case: সংশোধনাগারের বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়ার জন্য বর্ধমান সিজেএম আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম।
বর্ধমান: রাজু ঝা খুনে নয়া তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। হাজারিবাগ সংশোধনাগারে থাকা এক কুখ্যাত সুপারি কিলার আমন সিং রাজুকে খুনে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই কুখ্যাত সুপারি কিলার জেলে বসেই বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন সারে। ইতিমধ্যেই আমন সিংকে জেরা করেছেন সিটের আধিকারিকরা। রাজুকে খুনে জড়িত সুপারি কিলাররা ঘটনার আগে হাজারিবাগ সংশোধনাগারে গিয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। কারা হাজারিবাগের সংশোধনাগারে ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে সে সম্পের্ক তথ্য পেতে চায় পুলিশ। সেকারণে হাজারিবাগ সংশোধনাগারের প্রধান প্রবেশপথ ও তার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। সংশোধনাগারের বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়ার জন্য বর্ধমান সিজেএম আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, গোটা ঘটনাটি এক মাস ধরে ‘প্ল্যান’ করা হয়েছে। এই বিষয়টি অবশ্য খুনের পরই প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস TV9 বাংলার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। তিনি অনুমান করেছিলেন, এই খুন এক দুঘণ্টার মধ্যে প্ল্যান করে হয়নি। অন্ততপক্ষে মাস দুয়েক সময় লেগেছে গোটা বিষয়টি সাজাতে। খুনের সঙ্গে জড়িত নয়, এরকম একটি টিম গিয়ে এলাকা রেইকিও করে যায়।
১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লার কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝাকে। অভিযোগ, ল্যাংচা হাবের সামনে একেবারে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে তিন জন শুটারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। রাজু গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন। বাঁ দিকের জানালা লক্ষ্য করেই পরপর গুলি চালিয়েছিল শুটাররা। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই সাদা গাড়িতে থাকা আব্দুল লতিফও। তাঁরও খোঁজ চলছে। এই খুনের ইতিমধ্যেই লতিফ যোগের একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। সেরকমই আশঙ্কা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং।