Lakhhir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ, কারণ খুঁজতে গিয়ে আয়েশা দেখলেন তিনি ‘মৃত’
Mahishadal: আয়েশার কথায়, "গত এপ্রিল মাস থেকে আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে না। প্রথমে বুঝতে পারিনি, পর পর কয়েক মাস টাকা না আসায় সন্দেহ হয়। পঞ্চায়েত অফিসে যাই। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানই জানান, বিডিওর কাছে যেতে। গত ২৮ নভেম্বর বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছি।"
পূর্ব মেদিনীপুর: স্বামী, দুই সন্তানকে নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন মহিষাদলের আয়েশা বিবি। অথচ সরকারি তালিকায় সেই আয়েশাই ‘মৃত’। আর সে কারণে কোনও প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন না তিনি। এমনকী রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার জন্য যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খোলা হয়েছে, তা থেকেও বঞ্চিত বাংলার এই ‘লক্ষ্মী’।
মহিষাদলের বামুনিয়া গ্রামের আয়েশা বিবি (৩৬)। তাঁর কথায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যে টাকা, প্রতি মাসে তা পেলে সংসারে সুবিধা হয়। অথচ গ্রামের বাকিরা সে টাকা পেলেও তিনি পাচ্ছেন না এবং তা পাচ্ছেন না অদ্ভুত কারণে। সরকারি ওয়েবসাইটে তাঁকে মৃত দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।
ইটামগরা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের আওতায় এই বামুনিয়া গ্রাম। আয়েশা বলেন, তিনি যে বেঁচে আছেন তা প্রমাণ করতে গত ৬ মাস ধরে ছুটে বেড়াচ্ছেন পঞ্চায়েত অফিস থেকে বিডিও অফিস। এই দৌড়েও নিজেকে ‘বাঁচিয়ে’ তুলতে পারেননি এখনও।
আয়েশার কথায়, “গত এপ্রিল মাস থেকে আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে না। প্রথমে বুঝতে পারিনি, পর পর কয়েক মাস টাকা না আসায় সন্দেহ হয়। পঞ্চায়েত অফিসে যাই। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানই জানান, বিডিওর কাছে যেতে। গত ২৮ নভেম্বর বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছি।”
ইটামগরা- গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাসের কথায়, একজন গরিব মানুষের টাকা আটকে রয়েছে, এর থেকে খারাপ আর কী বা হতে পারে। ব্লক প্রশাসন যেন বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তবে মহিষাদলের বিডিও বরুণাশিস সরকারের বক্তব্য, জন্ম-মৃত্যুর পোর্টালে আধার লিঙ্কে ভুলের কারণে উপভোক্তাকে ভুগতে হচ্ছে। বিডিওর কথায়, “আমার নজরে বিষয়টা এসেছে। গ্রামপঞ্চায়েত থেকে এন্ট্রি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হয়েছে। রিপোর্ট নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমস্যা নেই, সংশোধন হয়ে যাবে।”