হলদিয়া : স্থগিতাদেশ উঠল কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর থেকে। কলকাতা হাইকোর্ট সোমবার কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। আর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনের জন্য তৎপরতা শুরু করে দিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, শনিবারই বৈঠক করতে পারে সমবায় নির্বাচন দফতর। মূলত কবে থেকে ফের ভোট প্রক্রিয়া শুরু করা যায়, সেই নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই বৈঠকে। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছিল হাইকোর্ট। স্পেশাল অফিসার ছাড়াই এআরসিএস নির্বাচনী প্রক্রিয়া ইস্যু করেন। যা বেআইনি জানিয়ে হাইকোর্টে ৩০ মে মামলা দায়ের করেছিলেন সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ সুকুমার বেরা।
ওই দিনই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ২ জুন পর্যন্ত বহাল ছিল স্থগিতাদেশ। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন হবে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে। আদালতের এমন নির্দেশে, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে আবারও তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সুকুমার বেরা। এই সুকুমার বেরা কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। তিনিই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় কিছুটা অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে কেন এত তাড়াহুড়ো সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি বিচারপতি। এর আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ড অব ডিরেক্টরর্স নির্বাচন করাতে হবে। রাজ্যের অন্যতম বড় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পরে পরিচালন কমিটি মধ্যে ভোটাভোটি করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত কয়েকদিনের জন্য চেয়ারম্যান হয়েছিলেন চিন্তামনি মণ্ডল।