AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Debangshu Bhattacherjee: দেবাংশুর হারের পিছনে কি না এই কারণ? TMC-র অন্দরেই গুঞ্জন

Debangshu Bhattacherjee:পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হেরেছে তৃণমূল। অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই দায় নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ৭৭,৭৩৩ ভোটে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে।

Debangshu Bhattacherjee: দেবাংশুর হারের পিছনে কি না এই কারণ? TMC-র অন্দরেই গুঞ্জন
দেবাংশু ভট্টাচার্যImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2024 | 11:57 AM
Share

তমলুক: লোকসভা ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে অনেক দিন। তবে এখনও রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে কাটাছেঁড়া করছে। বাদ যায় যায়নি শাসকদল তৃণমূলও। এবার তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হারের জন্য বিজেপির উপরই দোষ চাপাল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, টাকা দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি-র।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হেরেছে তৃণমূল। অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ৭৭,৭৩৩ ভোটে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ৭ টি বিধানসভা রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম কোলাঘাট বিধানসভা। কারণ কোলাঘাটের বিধায়ক হলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৮১,৫৫৩ ভোট। অপরদিকে তৃণমূল পেয়েছিল ৯১,২১৩ টি ভোট। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃণমূল। আর ২০২৪ সালে সব হিসেবেই লোকসভা নির্বাচনে চিত্রটা পুরো উল্টে গিয়েছে।

এই লোকসভার কোলাঘাট বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ৯১,২৪৯ ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল পেয়েছে ৮৮,৫২৮ ভোট। অর্থাৎ বিজেপি প্রায় ৩০০০ ভোটে এগিয়ে ছিল এই বিধানসভা থেকে। কার্যত রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী নিজের বিধানসভাই রক্ষা করতে পারেননি। এই দায় নিতে হবে মন্ত্রীকে? লোকসভায় কেন তৃণমূলের এই ভরাডুবি! এই নিয়েই তমলুকের বিধায়ক কার্যালয় ইতিমধ্যে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, বৈঠকে হারের কারণ হিসেবে বিরোধীদের বিপুল পরিমাণ টাকার দেওয়া-নেওয়াকে দায়ী করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আরও টাকা খরচ করলে ফল হয়ত অন্যরকম হত।” তমলুক জেলা তৃণমূল সভাপতি অসিত মাইতি বলেন, “ব্লক সভাপতি, জেলা সভাপতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। টাকা স্রোত বয়ে গেছে। টাকার খেলা হয়েছে। তাই আমরা জিততে পারিনি।” যদিও, মৎস্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করতে পারেননি তৃণমূলের আরেক রাজ্যস্তরের নেতা। পাল্টা তৃণমূল নেতা পার্থসারথি মাইতি বলেন, “লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সব থেকে ধনী লোকসভা হচ্ছে তমলুক লোকসভা। এরপরেও যদি কোন নেতা বলে আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল,তা তিনি মানতে রাজি নন।”

যদিও পুরো ব্যাপারটাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে মন্ত্রী নিজের বিধানসভা এলাকা সামলাতে পারেনি তিনি তমলুক লোকসভা কীভাবে সামলাবেন? রাজ্য কীভাবে সামলাবেন। সবমিলিয়ে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও তমলুক লোকসভায় হারের প্রকৃত কারণ খুঁজযে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সহ সভাপতি বিজেপি দেবব্রত পট্টনায়ক বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর বিজেপির গড়ে পরিণত হয়েছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে পরিণত হয়েছে। আর এখন তৃণমূল উদ্ভট তথ্য সামনে আনছে।”