Dilip Ghosh: ‘বিজেপি করে খাওয়ার জায়গা নয়, অনেকে করে খেতে এসেছেন’, সোজাসুজি কাকে আক্রমণ করলেন দিলীপ?
Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষ বলেন, "যারা আমার দিকে আঙ্গুল তুলছে, কেন বাংলায় বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি কমছে, তার জবাব দিক। এতদিন যারা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট খেয়েছে, তারা কথা বলছে।"

পূর্ব মেদিনীপুর: দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের আমন্ত্রণে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যেতেই কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির দিকে। উঠেছে দলবদলের গুঞ্জনও। এই সবেরই উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “দিলীপ ঘোষ মরে যাবে কিন্তু বিজেপি ছাড়বে না”। চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন দলবদলুদের।
এদিন দিঘাতে বসেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি মন্দিরে এসেছি ,কে তৈরি করেছে সেটা বড় নয়। যারা আমার দিকে আঙ্গুল তুলছে, কেন বাংলায় বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি কমছে, তার জবাব দিক। এতদিন যারা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট খেয়েছে, তারা কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় ছিল যারা…।”
দল বদলের জল্পনার জবাব দিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “দিলীপ ঘোষ মরে যাবে কিন্তু বিজেপি ছাড়বে না। যদি পার্টি মনে করে দিলীপ ঘোষকে লাগবে না, সেটা আলাদা বিষয়। আমার দিঘা আসা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ ছিল, আছে, থাকবে।”
এরপরই দলের একাংশকেই আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি করে খাওয়ার জায়গা নয়। অনেকে এখানে করে খেতে এসেছেন। হিন্দু-হিন্দু করছেন অনেকে। ২০২১ সালের পর পার্টি দেখেছেন, তাই অনেকে ৭৭জন হিন্দু শহীদ বলছেন। ওরা জানে না ওটা ২৭৭ হবে।”
নাম না করেই দলবদলুদের আক্রমণ করে বলেন, “আজকে আমাদের দলে এমন লোক আছে যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দলকে দাঁড় করিয়েছিলাম। দালালরা যবে থেকে দলে এসেছে, দল একটার পর একটা নির্বাচনে হারছে। আমি ৭৭টা বিধায়ক-সাংসদ দিয়ে এসেছিলাম ,আজ কী অবস্থা? কেন প্রতিনিধির সংখ্যা কমছে ? তাদের প্রশ্ন করুন। ২০২১ সালের পর গ্রাফ নামছে। আমরা জিততে ভুলে গিয়েছি। আমার লড়াই জারি আছে। আপনারা ঠিক করুন কার হয়ে লড়াই করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “দিলীপ ঘোষ সরে গেলে কি অনেকের সুবিধা হবে ভাবছেন! পার্টির কেউ কেউ হাতাশা করছেন। দলে অপসংস্কৃতি ঢুকেছে। কেউ কেউ চান আমি বেড়িয়ে গেলে জায়গাটা খালি হবে, তাঁদের ভাল হবে। সেই জায়গা নেই। যবে থেকে তাঁরা পার্টিতে ঢুকেছে তবে থেকে পার্টির অবনতি হয়েছে।”





