TMC Leader: সরকারি কোষাগার থেকেই প্রাক্তন MLA-র স্ত্রীর গাড়ির তেল খরচ ২১ লক্ষের বেশি! কী করে সম্ভব? প্রশ্ন বিরোধীদের
TMC Leader: ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিল অপর্না দেবীর কর্মকাল। এদিকে ২০২০ সালের শুরু থেকেই দেশে জাঁকিয়ে বসেছিল করোনা। চলেছিল লকডাউন। দীর্ঘকাল কার্যত স্তব্ধ ছিল দেশ। তাহলে ওই এই সময়কালে গাড়ির পিছনে এত তেল খরচ হল কী করে? প্রশ্ন বিরোধীদের।
পূর্ব মেদিনীপুর: ৫ বছরে গাড়ির তেলের খরচ সাড়ে ২১ লক্ষ টাকা! যখন এই খরচ হয়েছে তার একটা বড় সময় ধরে দেশ তথা রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছিল করোনা, চলেছে লকডাউন। তাহলে কী করে এত খরচ উঠল? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কারণে যে গাড়ির এত তেল লেগেছে সেই গাড়ি চড়েছেন একেবারে বিধায়কের স্ত্রী। কথা হচ্ছে প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাভার্যের স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্যকে নিয়ে। তিনি বর্তমানে বর্তমানে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। আগে তিনি চণ্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন তিনি যে গাড়ি পেয়েছিলেন সেই গাড়ির বিল হয়েছে ২১ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি টাকা হয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।
২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিল অপর্ণা দেবীর কর্মকাল। এদিকে ২০২০ সালের শুরু থেকেই দেশে জাঁকিয়ে বসেছিল করোনা। চলেছিল লকডাউন। দীর্ঘকাল কার্যত স্তব্ধ ছিল দেশ। তাহলে ওই এই সময়কালে গাড়ির পিছনে এত তেল খরচ হল কী করে? সেই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। অনেকেই আবার সেই সময় পেট্রোল, ডিজেলের দাম যে কম ছিল সে কথাও মনে করাচ্ছেন।
যিনি প্রথম এ বিষয়ে আলোকপাত করেন সেই তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত পাত্র বলছেন, “আমরা সবাই তৃণমূল করি। তৃণমূল দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য জীবন-যৌবন সব দিয়েছি। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত এই মহিলা ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন। হাটে-বাজারে ওনার সম্পর্কে অনেক কথা শোনা যায়। তৃণমূলের ছেলেরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নানা কথা বলে। তারা প্রতিবাদ করতে চাইলেও তাঁদের কথা শোনা হয় না। এখন আমি কৌতূহল থেকেই আমি আরটিআই করে ওনার সময়কালে উনি যে গাড়ি চড়তেন তার তেল খরচের বিষয়ে জানতে চাই। তাতেই দেখা যায় ২১ লক্ষ ৪৫ হাজারের কিছু বেশি টাকা গাড়ির তেল বাবদ খরচ হয়েছে। এটা দেখে আমার খুব অবাক লেগেছে! এই টাকা পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মনে করি। প্রশাসনের উচিত তদন্ত করা।”
কী বলছেন অপর্ণা দেবী?
যদিও অপর্ণা দেবী বলছেন, “এই তথ্য ভুল। যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অসঙ্গতি আছে। অন্যান্য সভাপতিরা যা নিয়েছেন আমি তাঁদের থেকে অনেক কম টাকা নিয়েছি। আমি সব সময় ঠিক থাকি। এটা আমার চরিত্র। তাই এই অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারছি না। আর বারবার করোনার কথা বলা হচ্ছে। তাহলে আমি বলব করোনা ছিল বলেই তো বারবার বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে হয়েছে।” পাল্টা তোপ দেহে বিজেপি নেতা পুলক গুড়িয়া বলছেন, “সাধারণের ট্যাক্সের টাকায় তৃণমূল মালিক হিসাবে বসেছে। এটা তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এরকম উদাহরণ অনেক আছে। অপর্ণা ভট্টাচার্য এই ছোট ব্লকে কোথায় কোথায় গিয়েছেন যার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তেলের বিল হয়েছে তার হিসাব উনি দিতে পারবেন না।”