শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হলদিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়ের হল এফআইআর
Haldia Municipality: রাজ্যের পুর ফাইল নাড়াচাড়া চলছে। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এবার শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হল রবিবার। ঘটনায় উপকূলের শিল্পাঞ্চলে শুরু হল তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর।
হলদিয়া: রাজ্যের পুর ফাইল নাড়াচাড়া চলছে। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এবার শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হল রবিবার। ঘটনায় উপকূলের শিল্পাঞ্চলে শুরু হল তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর।
হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদকের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবার রাজ্যের নির্দেশে তার তদন্ত শুরু করলেন হলদিয়ার মহকুমা শাসক। এই ঘটনায় শিল্প নগরী হলদিয়া শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। উল্লেখ্য, শ্যামলবাবু প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অধুনা বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর পথ ধরে প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদক তৃণমূল ছাড়েন। যোগ দেন বিজেপিতে। আর তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
জানা গিয়েছে, টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় প্রাক্তন পুরসভা চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদকের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। অভিযোগ, শ্যামলবাবু অবৈধভাবে নিজের এবং আত্মীয়স্বজনদের ঠিকাদারি সংস্থাকে পুরসভার কাজের টেন্ডার দিয়েছেন। এবং সেই কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের পুরো টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। এদিকে সেই কাজ অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, পুরসভার কোথাও সেই টেন্ডার কাজ দেওয়া কাজ আদৌ হয়নি। আবার কোথাও কাজ শুরু হলেও তা মাঝ পথে আটকে রয়েছে। এদিকে সেই ঠিকাদার সংস্থা টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে! এই ঘটনায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা শ্যামলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অগস্ট এ নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি পুর কর্তৃপক্ষকে একটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন। যার দায়িত্ব বর্তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসকের ওপর। তারপরই পুরসভার একজিকিউটিভ অফিসার ভবানীপুর থানায় চিঠি লিখে তাঁর অভিযোপত্রটি এফআইআর হিসেবে দেখতে আবেদন করেন।
মাসখানেক আগে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সময়কার অনেকগুলি ফাইল নগরোন্নয়ন দফতর চেয়ে পাঠায় বলে খবর। সেই ফাইল খতিয়ে দেখার পরই রাজ্য থেকে পুরসভাকে এফআইএর করার নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ১০-১২টি ফাইলে অস্বচ্ছতার প্রমাণ পেয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর। তবে এই এফআইআর বা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এখনই পুর কর্তৃপক্ষ কিংবা মহকুমা শাসক কেউই মুখ খুলতে চাননি।
এ ব্যাপারে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলছেন, “একাধিক জায়গায় কাজ হয়নি। কিন্তু টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্ত বিষয়ের তদন্ত হবে।” যদিও গোটা বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ হলদিয়া পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল।
এদিকে পুরো বিষয়টি তৃণমূলকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তাঁর দাবি, যতদিন তৃণমূলে ছিলন ততদিন কোনও অভিযোগ নেই। অন্য দলে গেলেই দুর্নীতির অভিযোগ। পুরো বিষয়টিকে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছেন। যদিও এ নিয়ে অভিযুক্ত শ্যামল আদকের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন: গ্রেফতারের পরই প্রাক্তন মন্ত্রীর বুকের বাঁ দিকে ব্যথা! থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে