AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolaghat Fire: মধ্যরাতে আচমকাই কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চর্তুদিক, কোলাঘাটের ব্যবসায়ী খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি

Kolaghat Fire: দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে। পরে পরিস্থিতি বুঝে পৌঁছয় আরও একটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Kolaghat Fire: মধ্যরাতে আচমকাই কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চর্তুদিক, কোলাঘাটের ব্যবসায়ী খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি
কোলঘাটে ভস্মীভূত কারখানা (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 12:37 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: আগুনে ভস্মীভূত কোলাঘাটের কারখানা। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের রাতভর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভস্মীভূত কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী। শনিবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার মান্দারগাছিয়া গ্রামে একটি হোসিয়ারি কারখানায় হঠাৎই আগুন লেগে যায়। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর যায় দমকলে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দোতলায়। কারখানার ভিতর থেকে কর্মীদের বার করে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার পুকুর থেকে জল নিয়ে ঢালতে শুরু করেন। কিন্তু আগুন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে। পরে পরিস্থিতি বুঝে পৌঁছয় আরও একটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কী কারণে আগুন লেগেছে,তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে। তবে কারখানায় যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

কোলাঘাটে ভস্মীভূত কারখানা

জানা যাচ্ছে ,স্থানীয় বাসিন্দা অর্জুন বেরার এই হোসিয়ারি কারখানা ছিল। তাঁর কয়েক লক্ষ টাকার হোসিয়ারি সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। অর্জুন বেরার সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা প্রথমে দেখি কালো ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যাচ্ছে। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলছিল কারখানার একতলা। সবাই ছোটাছুটি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকি। যে যেখান থেকে পারি জল আনি। কিন্তু আগুন বেড়েই যাচ্ছিল। দমকলও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। আগুন নেভাতে নেভাতে ভোররাত হয়ে যায়।”

দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব থেকে বড় কথা, এই কারখানায় আদৌ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।