Haldia: ২৭ বছরে রেকর্ড! ১০০ কোটি ছাড়াল হলদিয়া পৌরসভার আয়!
Haldia: মূলত উন্নয়ন কাজের গতি বাড়লে আয়কর বাড়ে। শিল্পাঞ্চলের বড় বড় কারখানা থেকে রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে সবচাইতে বেশি। শুধু শিল্প ক্ষেত্র থেকেই এবার ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব মেদিনীপুর: ১০০ কোটি টপকালো হলদিয়া পুরসভার রাজস্ব আদায়। ২৭ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এটি। রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়ল হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। গত অর্থবর্ষে পুরসভার রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৫ কোটির মতো। এবার ১০০ কোটিরও বেশি-রাজস্ব আয়ের খবর মিলেছে পুরসভা সূত্রে। নাগরিক পরিষেবা সচল এবং উন্নয়নের গতি ধরে রাখার ফলেই রাজস্বের পালে হাওয়া লেগেছে বলেও জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক তথা হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সাফল্যের পিছনে পুরসভার কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রত্যেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য। বহু বছরের বহু বকেয়া কর এবার আদায় করা সম্ভব হয়েছে। রাজস্ব আয়ের এই চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা জারি থাকবে।”
মূলত উন্নয়ন কাজের গতি বাড়লে আয়কর বাড়ে। শিল্পাঞ্চলের বড় বড় কারখানা থেকে রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে সবচাইতে বেশি। শুধু শিল্প ক্ষেত্র থেকেই এবার ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বাকি ২০ কোটি টাকা আয় হয়েছে পুকুর লিজ দিয়ে, বিভিন্ন মার্কেটে কমপ্লেক্সের ভাড়া আদায় সহ পুরসভার অন্যান্য উৎস থেকে।
হলদিয়া পুরসভার অর্থনীতির যে আকার তার সঙ্গে রাজস্ব আয় সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না এতদিন। পুরসভার ২৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রাজস্ব আদায়ের অতিক্রম করল দশ অঙ্কের ঘর। রাজস্ব বৃদ্ধির এই হার এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে, শিল্পখাতে এর আগে ৫৫ কোটির বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারেনি বিগত কোনও বোর্ড। এই প্রথম উন্নয়ন কাজের গতির সঙ্গে বকেয়া কর আদায়ে জোর দিয়েছিল পুর প্রশাসক বোর্ড।
হলদিয়ার মহকুমা শাসক ও পৌরসভার প্রশাসক সুপ্রভাব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ হিসাব মতো প্রায় ১০০ কোটির ওপরে। আমরা তো ট্য়াক্সের রেট বাড়ায়নি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু ইন্ডাস্ট্রি ও স্টলগুলোর অনেকাংশ ট্যাক্স দিচ্ছিল না। সেগুলো এবার মিটেছে। সেগুলি নোটিস করে রিকভারি করা হয়েছে। এখন আবার অনেকটাই অনলাইন বেসড। ফলে অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে।”
তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ সরকার বলেন, “হলদিয়া পৌরসভার ট্যাক্স কালেকশন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এটা ভীষণ আনন্দের খবর। আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। শুভেন্দু অধিকারী যখন ছিলেন, পৌরসভার সবই দেখতেন। কিন্তু তখনও এত বেশি রাজস্ব আদায় হয়নি।”
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি আনন্দ দাস অধিকারী বলেন, “আমি ধরে নিলাম ওদের সাফল্য। তবে শুভেন্দুবাবু যে কাজ করে গিয়েছেন, ওরা কেন সেটা করতে পারল না? সব রাস্তা এখনও ভাঙা, বাকি পরিষেবা দেখুন। নির্বাচন কেন করেনি ওরা?”





