Purba Medinipur: পাত্রের থেকে ফ্রিজ, মোবাইল ‘যৌতুক’ নিয়েই বেপাত্তা কনে!
Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার যুবক দেবাশীস প্রামাণিক। সূত্রের খবর, দেবাশীসের সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক ওই এলাকারই এক যুবতীর।
পূর্ব মেদিনীপুর: দীর্ঘ ন’নছরের প্রেম ওঁদের। আর কয়েকদিন পর ছিল বিয়ে। ফলত তোড়তোড় তুঙ্গে। হবু বর ও বউ দু’জনের বাড়িতেই চলছিল আইবুড়ো ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি। কিন্তু হঠাৎ বেঁকে বসলেন মেয়েটি। বিয়ে করতে রাজী নন প্রেমিককে। এদিকে, প্রেমিকাদের বাড়িতে পৌঁছতেই মাথায় হাত তাঁর। বন্ধ ঘরের দরজা, তালা পড়েছে দোকানেও। তখনই আর বুঝতে বাকি রইল না কিছু। প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় থানায় গেলেন প্রেমিক। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন মেয়েটি তাঁর কাছ থেকে দামি সামগ্রী হাতিয়ে নিয়েছেন। আর এখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না। গোটা ঘটনায় ওই প্রেমিকা ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে যুবক।
পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার যুবক দেবাশীস প্রামাণিক। সূত্রের খবর, দেবাশীসের সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক ওই এলাকারই এক যুবতীর। দেবাশীস পেশায় একটি প্রাইভেট সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী। আর ওই যুবতী নিজেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একটি ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। দেবাশীস ও যুবতী দীর্ঘদিন ধরেই একে অন্যের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। এরই মাঝে ওই যুবতী দেবাশীসের কাছ থেকে দামী ফোন নেয়। তাতে অবশ্য আপত্তি করেননি যুবক।
এরপর একসময় যুবতীর বাবা-মা বিয়ের প্রস্তাব আনেন। ২০১৮ সালে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেবাশীস এর কাছে সোনার হার এবং আংটি বায়না করে যুবতী। ধারদেনা করে সব আবদার মিটিয়েছেন তিনি এমনটাই দাবি ওই যুবকের। এবার যুবকের ইচ্ছে ছিল বিয়ের পর স্ত্রীর মাইনে দিয়ে সমস্ত ঋণ মিটিয়ে দেবে। তবে তা হল না।
তবে এর মধ্যেই যুবতী ফ্রিজ দাবি করেন। দেবাশীস প্রথমে রাজি না হওয়ায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে ঠিক করে ফ্রিজ হাতিয়ে নেয় সে। এইসবের মধ্যেই হবু ননদের কাছ থেকে আইবুড়ো ভাত খান প্রেমিকা। বিয়ের খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও হয়েছিল দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু হল না! এরই মধ্যে সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা প্রেমিকা। প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে দেবাশীস দেখেন দরজা বন্ধ। পাশাপাশি প্রেমিকাদের তমলুকে অবস্থিত দোকানের ঝাঁপেও পড়েছে তালা। তাই এবার আইনের দ্বারস্থ হয়েছে ঋণে জর্জরিত প্রেমিক দেবাশীষ। তাঁর দাবি, ওই যুবতীর বাবা-মা তাঁদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই সুবাদে সমস্ত জিনিসপত্রের বায়না মিটিয়ে দিয়েছিলেন। এখন ঋণে জর্জরিত সে।”
যদিও এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্ত যুবতীর মায়ের। তিনি বলেন, ‘একদম বাজে ছেলে। আমাদের মেয়েকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করতে চাইছিল। আমরা জেনে ফেলার পর বিয়েতে রাজি হইনি। এখন ওই যুবক থানা পুলিশ করছে। আইনের পথেই বিচার হবে।’
আরও পড়ুন: Midday Meal: স্কুলের রান্নাঘরে হঠাৎ হাজির পুলিশ, চেখে দেখলেন মিড-ডে মিলের খাবার