Mid Day Meal: শেষে কি না স্কুলের প্রধান শিক্ষকই শিশুদের মিড ডে মিল চুরি করছেন?
Panshkura: শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার পুলশিটা ভোলানাথ বিদ্যায়তনে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল মাইতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্কুলে সময়মতো আসেন না। এমনই অবস্থা যে পড়ুয়ারা চেনেনই না প্রধান শিক্ষককে। এমনকী মিড ডে মিলে দুর্নীতি করছেন।

পাঁশকুড়া: মিড ডে মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ কিংবা শিশুদের মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ নতুন নয়। এবার খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে চুরির অভিযোগ উঠল। শেষে স্কুলের গেটে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা। বাকি শিক্ষকরাও মেনে নিলেন অভিভাবকদের তোলা অভিযোগ। শেষমেশ চাপে পড়ে পদত্যাগ করলেন প্রধান শিক্ষক।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার পুলশিটা ভোলানাথ বিদ্যায়তনে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল মাইতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্কুলে সময়মতো আসেন না। এমনই অবস্থা যে পড়ুয়ারা চেনেনই না প্রধান শিক্ষককে। এমনকী মিড ডে মিলে দুর্নীতি করছেন। অভিভাবকদের দাবি, মিড ডে মিলের জন্য ৬০ জন থাকলে দেখানো হয় ১৫০ জন। বাকি টাকা দিনের পর দিন আত্মসাৎ করছেন প্রধান শিক্ষক। এমনকী, চঞ্চলবাবু পরীক্ষার হলেও উপস্থিত থাকেন না। মিড ডে মিলে খাওয়ারের গুণগত মান ও ঠিক নেই।
এই সমস্ত অভিযোগ পার্শ্বশিক্ষকরাও স্বীকার করে নেন। আজ প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। এমনকী ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। বদলে পাঠিয়ে দেন পদত্যাগ পত্র। এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, “স্কুলের পঠন পাঠন ভাল হয় না। চঞ্চলবাবু স্কুলের উন্নয়নের টাকা চুরি করে। উনি সকাল ছটায় আসেন। স্কুল শুরুর আগেই চলে যান।” স্কুলের এক পার্শ্ব শিক্ষক দেবাশীস রঞ্জন কোনার বলেন, “ওনার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সত্যি। উনি স্কুলে আসেন না। পঠন পাঠন হয় না। মিড ডে মিলের চাল চুরি করেন। শুনলাম পদত্যাগ পত্র দিয়ে দিয়েছেন।
