Purba Medinipur: জরিমানা দিয়ে ছাড় নেই, হতে পারেন আটক, হারাতে পারেন ড্রাইভিং লাইসেন্স! দুর্ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ পূর্ব মেদিনীপুরে
Road safety: '৫০০, ১০০০ টাকা দিয়ে প্রসিকিউশন করে কোনও লাভ নেই, ডিটেইন করুন।' এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। যার ফলে বেপরোয়া ও বেআইনি ভাবে গাড়ি চালালে বাতিল হতে পারে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। হারাতে পারেন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অধিকার।
পূর্ব মেদিনীপুর: গত কয়েকদিন ধরে জেলার সড়কপথে ঘটে গিয়েছে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। প্রাণ গিয়েছে একাধিক। কোথাও বেপরোয়া গতি আবার কোথাও মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর জেরে ঘটেছে বিপর্যয়। এই প্রেক্ষিতে দুর্ঘটনা রুখতে একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসন। ‘৫০০, ১০০০ টাকা দিয়ে প্রসিকিউশন করে কোনও লাভ নেই, ডিটেইন করুন।’ এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। যার ফলে বেপরোয়া ও বেআইনি ভাবে গাড়ি চালালে বাতিল হতে পারে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। হারাতে পারেন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অধিকার।
হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো, তিনজন বাইক আরোহী, অতিরিক্ত গতি। ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে সিটবেল্ট না পরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো , নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আগামী কাল থেকেই রাস্তায় কড়া নজরদারি করছে জেলা প্রশাসন। অভিযান করছেন পুলিশ এবং RTO আধিকারিকরা । ১৮০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক ও ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিস্তৃত দুটি রাজ্য সড়কের অধিকাংশ জায়গাতেই চলবে এই নজরদারি। রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম ভাঙলেই তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ।
সদ্য ঘটে যাওয়া নদিয়ার ভয়াবাহ দুর্ঘটনা এবং প্রতি বছর জেলায় মোট ৩৫০ থেকে ৪০০ জনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু সজাগ হতে বাধ্য করছে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে। শিল্পনগর হলদিয়া এবং পর্যটন কেন্দ্র দিঘা থাকায় প্রতিনিয়ত ৫ হাজারেরও বেশি গাড়ি চলে জেলার জাতীয় সড়কে। NH কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা দিয়ে জাতীয় সড়কে ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের মাঝে থাকা লেনের উপর দিয়ে পারাপার করা অবৈধ।
জাতীয় সড়কের পাশে থাকা যেকোনো রাস্তা দিয়ে রাস্তায় ওঠার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা আবশ্যিক বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে পারেন ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী ব্যক্তিরা। জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, এবং RTO আধিকারিকদের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকেই চলবে কড়া নজরদারি।
প্রশ্ন মানুষের অসচেতনতা এবং খামখেয়ালিপনা নিয়ে। কারণ, এখনও চোখে পড়ে কিছু মানুষের অসচেতনতার ছবি। আবার কোথাও দায়ী পুলিশের উদাসীনতা। এখন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের এই যৌথ উদ্যোগ, বছরে জেলায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কতটা কমাতে পারবে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: TMC Worker’s death: ‘ফোনটা আসতেই শুনলাম,মেরে ফেলেছে’, বচসার জেরে তৃণমূল কর্মীকে কোপের উপর কোপ!