Nandigram Chaos: টাকা তছরুপের অভিযোগে জেলে পঞ্চায়েত প্রধান, রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ অনুগামীদের
Purba Medinipur: ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সামসুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
পূর্ব মেদিনীপুর: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধান গ্রেফতার হওয়ায় তাঁর অনুগামীরা তাণ্ডব চালাল নন্দীগ্রামের দাউদপুরে। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের বিডিও-র দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দাউদপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সামসুর ইসলাম গ্রেফতার হয়। এরপরই তাঁর অনুগামীরা এলাকায় অভিযোগকারীদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
কী ঘটেছে?
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সামসুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই প্রধানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, ব্যাঙ্কে লাভজনক পদে চাকরি করার পরও প্রধানের পদ দখলে রেখেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। জলের সাবমার্সিবল পাম্প না বসিয়ে শুধুমাত্র কাজ সমাপ্তির বোর্ড লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকার সরকারি গাছ কেটে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছেন প্রধান।
অভিযোগকারীদের কথায়, দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলি জানিয়েও ফল হয়নি। তাই আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। অভিযোগকারীদের আবেদনের মান্যতা দিয়েই কলকাতা হাইকোর্ট জেলা প্রশাসনকে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে আরও জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসনের তরফে প্রধানকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লিখিতভাবে তার উত্তর দিয়েছিলেন।
ব্লক প্রশাসনের তরফে তদন্ত রিপোর্ট হলদিয়া মহকুমাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়। এরপর ৬ এপ্রিল নন্দীগ্রাম থানাতে দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নন্দীগ্রাম ১ বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে নন্দীগ্রাম থানা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, মামলা শুরু হওয়ার পরই নোটিস দেওয়া হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। দু’দিন পর শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
এই বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “ওদের সম্বন্ধে যত কম বলা যায় ভাল। কারণ কাটমানি খেয়ে-খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। ওরা তাই কাজ করার থেকে চুরি করতেই পটু। শুধু সামসুল ইসলাম কেন, বহু পঞ্চায়েতে চুরি হয়েছে কোটি-কোটি টাকা। আর একটা করে সামসুল তৈরি হয়েছে । ভারতীয় জনতা পার্টি এই সব দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এবং দাবি জানায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের।”