Panskura CPIM: জিতেও জিতল না! ভাগ্যের পরীক্ষায় ‘হেরে গেল’ সিপিএম
Panskura CPIM: লটারির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা সমবায় সমিতি ডাইরেক্টর এবং সহ-সভাপতি-সহ পুরো সমবায় সমিতির বোর্ড দখল করে। তারপর হয় টস। তাতে জিতে কোনওমতে সভাপতির আসনটুকু পেল সিপিআইএম।
পাঁশকুড়া: সিপিএম সমবায় দখল করলেও ঘুরপথে পাঁশকুড়ার সমবায় সমিতি ডাইরেক্টর-সহ কমিটি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। টসে জিতে শুধু সভাপতির আসনে বসলেন সিপিআইএম প্রার্থী। গত ২৬ মার্চ পাঁশকুড়ার যশোড়া কো-অপাটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচনে জয় পেয়েছিল সিপিআইএম। সিপিএমের ৫ জন প্রার্থী জয়লাভ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস ৪ টিতে জয়লাভ করেন। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন করার সময় দেখা যায়, একজন ব্যাঙ্ক নমিনিকে সঙ্গে নিয়েছে তৃণমূল। তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম সমান ভোট পেয়েছে। সেখানে লটারির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা সমবায় সমিতি ডাইরেক্টর এবং সহ-সভাপতি-সহ পুরো সমবায় সমিতির বোর্ড দখল করে। তারপর হয় টস। তাতে জিতে কোনওমতে সভাপতির আসনটুকু পেল সিপিআইএম।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “সমবায় আইন অনুযায়ী যে লটারি হয়, তাতে সেক্রেটারি ও সহ সভাপতি আমাদের হয়েছে। বোর্ডটা আমাদের দখলে এসেছে।”
সিপিআইএম-এর বক্তব্য, “ওরা আসলে ব্যাঙ্ক নমিনি প্লেস করলে পাঁচ-পাঁচ হয়ে যায়। বোর্ড আমরাই দখল করেছিলাম। টসের মাধ্যমে আমাদের সভাপতি হয়েছেন।”
আর এ নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি সম্পাদক দেবব্রত পট্রনায়ক বলেন, “সমবায় হচ্ছে শাসকের কাছে মধু খাওয়ার জায়গা। যে কোনও উপায়ে সমবায় দখল করতে হবে। আর সেটাই করে দেখাল পাঁশকুড়া তৃণমূল নেতারা।”