Panskura: ‘তারিখটা বলুন…’, নদী বাঁধ মেরামতি পরিদর্শনে গিয়ে এজেন্সিকে ধমক জেলাশাসকের
Panskura: কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় জেলাশাসক ওই বাঁধের কর্মরত এজেন্সিকে ধমক দেন। এবং পরিদর্শন গিয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সেচ দফতরের আধিকারিককে আগামী ৩০শে জুন ডেড লাইন বেঁধে দেন জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।

পূর্ব মেদিনীপুর: পাঁশকুড়ার গড়পুরুষোত্তমপুরে নদী বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে কর্মরত এজেন্সিকে ধমক জেলার জেলাশাসক, বেঁধে দিলেন কাজের ডেড লাইন। টানা বৃষ্টির জেরে কংসাবতী নদীর জলস্তর ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। গেল বছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধের কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছিল বলে ক্ষোভ দেখিয়েছিল এলাকাবাসী। ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারির পর সকালে সেই নদী বাঁধ পরিদর্শনে যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, চেয়ারম্যান পাঁশকুড়া পৌরসভা, এসডিও, সেচ দফতরের আধিকারিক বিডিও,সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় জেলাশাসক ওই বাঁধের কর্মরত এজেন্সিকে ধমক দেন। এবং পরিদর্শন গিয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সেচ দফতরের আধিকারিককে আগামী ৩০শে জুন ডেড লাইন বেঁধে দেন জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। ওই তারিখের মধ্যে বাঁধটি মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, “গত বছর বন্যা পরিস্থিতিতে পাঁশকুড়ার তিনটে জায়গা ভেঙে গিয়েছিল। গড়পুরুষোত্তমপুর একটা জায়গা। সেচ দফতর তিনটে জায়গায় একই সঙ্গে কাজ শুরু করে। এই জায়গাটা পুরোটাই ভেঙে গিয়েছিল। কাটা মাটি পড়েছিল, কিছু জায়গায় বসে গিয়েছে। কতদিনে কাজ শেষ হবে, সেটার ওপর নজর রাখছি আমরা। ওরা কাজ শুরু করেছিল। নরম মাটিতে বৃষ্টির জল লেগেছে, জল পেয়ে বসে গিয়েছে। যাতে এই ঘটনা না ঘটে ইঞ্জিনিয়াররা গোটা বিষয়টি দেখছে। গ্রামবাসীদের নিয়ে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।” পুরো কাজ ৩০ জুনের মধ্য়েই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

