AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Medinipur : মন মানছিল না মায়ের, আট মাস পর কবর থেকে তোলা হল মেয়ের দেহ

Purba Medinipur : মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে কাঁথি আদালতের দ্বারস্থ হন আলিমা বিবি। গতকাল কাঁথি আদালতের বিচারক মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

Purba Medinipur : মন মানছিল না মায়ের, আট মাস পর কবর থেকে তোলা হল মেয়ের দেহ
আট মাস পর কবর থেকে তোলা হল মৃত নাবালিকার দেহ
| Edited By: | Updated on: Apr 28, 2022 | 8:01 PM
Share

ভগবানপুর : আটমাস আগে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। একমাত্র মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক হয়নি বলে বারবার মনে হচ্ছিল আলিমা বিবির। মেয়ের দেহ ময়নাতদন্তের দাবিতে দ্বারস্থ হন আদালতের। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে আটমাস পর আজ কবর (Grave) থেকে তোলা হল মৃতদেহ। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে দেখা হবে, মৃত্যুর কারণ কী। আটমাস আগে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত না করেই কবর দেওয়া হয়েছিল।

ভগবানপুর থানার ভগবানপুর গ্রামে বাড়ি আলিমা বিবির। তাঁর মেয়ে রবেদা গত বছরের মে মাসে প্রেম করে বিয়ে করে ওই থানারই জলিবাড় গ্রামের যুবক শেখ আজমাউলকে। আলিমা বিবি বলেন, তখন তাঁর একমাত্র মেয়ের বয়স ছিল ১৫ বছর। বিয়েতে মত ছিল না তাঁদের। পরে তাঁরা মেনে নেন।

বিয়ের মাস তিনেক পর একদিন সন্ধ্যায় রবেদার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁদের ফোন করা হয়। বলা হয়, রবেদার শরীর খুব খারাপ। তাড়াতাড়ি আসতে বলা হয় তাঁদের। আলিমা ও তাঁর স্বামী রফিদ আলি তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। গিয়ে দেখেন, মেয়ের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আলিমা বলেন, তাঁরা চিকিৎসকের কাছে মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলেও বাধা দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ওইদিনই মৃত্যু হয় রবেদার। আলিমার দাবি, মৃত্যুর আগে তাঁর মেয়ে তাঁকে বলেছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কিছু একটা খাইয়েছিল।

মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই কবর দেওয়া হয়। কিন্তু, মন মানছিল না মায়ের। বারবার মনে হচ্ছিল, মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তিনি বলেন, ভগবানপুর থানায় জানিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে কাঁথি আদালতের দ্বারস্থ হন। গতকাল কাঁথি আদালতের বিচারক মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

আজ ভগবানপুর থানার সামনে অবস্থিত কবরস্থান থেকে রবেদা’র মরদেহ তোলা হয়। ভগবানপুর ১ ব্লকের বিডিও বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক নাড়ুগোপাল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। আলিমার অভিযোগ, আমের জুসের সাথে চুল রং করার রাসায়নিক মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়ার ফলেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে খুশি পরিবার।

আরও পড়ুন : PK-কে টক্কর দিতে মাঠে SK! এই প্রাক্তন সহকর্মীই এবার প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জার?