Nandigram College : হোয়াটসঅ্যাপে সহকর্মীদের থেকে টাকা চেয়েছেন তিনি, শুনেই আকাশ থেকে পড়লেন অধ্যক্ষ
Nandigram College : ঘটনার কথা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান অধ্যক্ষ। তিনি স্পষ্ট জানান তিনি কারও কাছে কোনও টাকা চাননি।
কাঁথি : বাজাল হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) নোটিফিকেশন টোন। ফোন খুলতেই সকলে দেখলেন মেসেজ করেছেন খোদ অধ্যক্ষ। তবে নম্বর অচেনা। প্রোফাইল পিকচারের জায়গায় অধ্যক্ষেরই ছবি। এই মেসেজ গিয়েছে কলেজে অধ্যক্ষের পরিচিত অনেকের কাছেই। চাইছেন টাকা। মেসেজ দেখে অনেকেই ভাবেন হয়তো কোনও প্রয়োজনেই টাকা চাইছেন নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের প্রিন্সিপাল (Nandigram College) সামু মাহালি। উত্তরও দেন অনেকে। তবে নম্বর দেখে সন্দেহ হয় অনেকের। দেখা যায় ১০ সংখ্যার নয়। যে নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে এসেছে তাতে রয়েছে মোট ১২টি ডিজিট। যা দেখে সন্দেহ বাড়ে অনেকের। কলেজ এসে সরাসরি অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা।
ঘটনার কথা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান অধ্যক্ষ। তিনি স্পষ্ট জানান তিনি কারও কাছে কোনও টাকা চাননি। এদিকে যাঁরা মেসেজ পেয়েছেন তাঁদের দাবি, অধ্যক্ষের ছবি দেওয়া অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের অনেককেই নানারকম মেসেজ করা হয়েছে। কারও থেকে আবার আধার নম্বর পর্যন্ত চাওয়া হয়েছে। নম্বর ঘিরে রহস্য বাড়তে চিন্তিত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ সামু মাহালি। ইতিমধ্যেই পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন স্বভাবতই চাঞ্চল্য তৈরি হয় নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “আজ সকালে কলেজের কিছু অধ্যাপক আমাকে এসে বিষয়টি জানান। একটা বিদেশি নম্বর তাঁরা আমাকে দেখান। তাতে ১২টা সংখ্যা ছিল। এই নম্বর থেকে ছবি বসিয়ে আমার নানা পরিচিত মানুষের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে আমার আর্থিক সঙ্কট, সমস্যার কথা। অনেকের কাছে গুড মর্নিং মেসেজও পাঠানো হয়। কারও কারও কাছ থেকে আবার আধার নম্বর চাওয়া হয়। আমার কলেজের অনেক সহকর্মীর কাছেও এই ধরনের মেসেজ গিয়েছে। আজকাল তো নানা ধরনের প্রতারণা চক্রের খবর আমরা দেখতে পাই। এটা সেরকমই কিছু হবে হয়তো। আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” কলেজের এডুকেশন বিভাগ কর্মী সৌরভ দাস বলেন, “ওই নম্বর থেকে হাই, হ্যালো, গুড মর্নিং বলা হয় প্রথমে। তারপর টাকা চাইতে থাকেন। এদিকে ওই নম্বরের সঙ্গে যে ছবি দেওয়া ছিল ওটা প্রিন্সিপাল স্য়ারের। তবে নম্বরটা ১২ সংখ্যার ছিল। তা দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়।”