মধ্যরাতে চিকিৎসকের ‘নির্মম আচরণের’ শিকার প্রসূতি, পরিণতি মর্মান্তিক
কর্তব্যরত নার্সরা গোটা বিষয়টি দেখে চিকিৎসককে জানিয়েছিলেন, কিন্তু অভিযোগ আসেননি তিনি...
পূর্ব মেদিনীপুর: প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল গৃহবধূর। চিকিৎসককে ফোনে সে কথা জানিয়েছি কর্তব্যরত নার্সরা। চিকিৎসক ফোনেই বলেছিলেন ‘রেমিডি’। কিন্তু অভিযোগ, রাতে আর এসে প্রসূতিকে দেখেননি তিনি। সদ্যোজাতের জন্মের পর মৃত্যু হল প্রসূতির। চিকিৎসায় গাফিলতির অনভিযোগ তুলে এগরা মহকুমা হাসপাতালে (Egra Sub Divisional Hospital) বিক্ষোভ প্রসূতির পরিবারের। তবে সদ্যোজাত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পটাশপুরের পদিমা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের স্ত্রী সুচরিতার সন্তানসম্ভবা ছিলেন। গত ২২ তারিখ আচমকাই তাঁর পেটে ব্যথা হয়। প্রসব যন্ত্রণা ভেবে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক বসাক নস্করের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। সেদিন থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সুচরিতা। শনিবার রাতে তাঁর ওটি হবে বলে চিকিৎসক জানান। পরিবার চিকিৎসককে ‘নরম্যাল ডেলিভারি’ করানোর আবেদন জানায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুচরিতাকে ডেলিভারি টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয় রবিবার রাত ১ টা নাগাদ। প্রসবের পর শুরু হয় মায়ের রক্তক্ষরণ। সারা রাত ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকেন প্রসূতি। নার্সরা জানান, চিকিৎসককে জানানো হয়েছে। তবুও চিকিৎসক রাতে আর আসেননি বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে এসে প্রসূতিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাস্তার মোড়ে ব্লেড চালিয়ে নিজের গলার নলি কাটল যুবক, শিউরে উঠলেন পথচলতি মানুষ…
সোমবার সকাল ১০টায় মৃত্যু হয় প্রসূতির। খবর জানতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক ও হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এপ্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার দেবব্রত করণ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” চিকিৎসকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল চত্বরে পুলিস মোতায়েন।