Purbo Medinipur TMC: দুর্নীতিতে ‘দুষ্ট’ প্রধানকে দলের নির্দেশে করতে হল পদত্যাগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলে শোরগোল
Purbo Medinipur TMC: পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়ে এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচি চালু করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর: দুর্নীতির অভিযোগ দলের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় পদত্যাগ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। সূত্রের খবর, ব্যক্তির নাম সেলিম আলি৷ তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক ইউনিটের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়ে এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচি চালু করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই এই সেলিম আলির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে।
অভিযোগ, পাওয়ার পর থেকেই দলের তরফে অন্ততদন্ত শুরু করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় সেলিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সব সত্যি। তাই সেলিম আলিকে পদত্যাগ করতে বলা হয় দলের তরফে। মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন সেলিম আলি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বারবার রাজনৈতিক সভায় গিয়ে জানিয়ে আসছেন দলের মধ্যে এক ইঞ্চি জমিও দুর্নীতির জন্যও বরাদ্দ করা হবে না। দলের কড়া অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেস করলে ঠিকাদারি করা চলবে না। তাই সেলিম আলিকে পদত্যাগ করতে বলা হল।
এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযুষ কান্তি ভুঁইঞা বলেন, “এটা তমলুকে। আমার বিষয়টি জানাই নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।” অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় যে রাজনীতি চলছে, শান্তিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলার অর্থ আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তৃণমূল চাইছে সাধারণ মানুষের সামনে এসবের মাধ্যমে নিজের ইমেজ ধরে রাখতে। এই প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রচুর তোলাবাজির টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। এখন আর পারছেন না। তাই নতুন প্রধান বসিয়ে তোলাবাজি করা হবে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এখন আর টাকা তুলে দিতে পারছেন না। তাই এটা করল তৃণমূল। আমরা শুনলাম অন্যায় করেছে, এই করেছে, সেসব, কিন্তু ভিতরের খবর অন্যই। কারণ প্রধান আর টাকা দিতে চাইছিলেন না।”