Sekh Sufian: সুফিয়ানের ‘জাহাজ বাড়ি’ নজর কাড়ে স্বয়ং মমতার! গরু বিক্রি করে উত্থান হওয়া তৃণমূল নেতার সম্পত্তি কত?
Purba Medinipur: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িটি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। প্রকাশ্যেই সুফিয়ানের এই বাড়িটির প্রশংসা করেছিলেন তিনি।
নন্দীগ্রাম: জাহাজের আদলে তৈরি বাড়ি। ঠিক বাড়ি বললে ভুল হবে। এক কথায় অট্টালিকা। জাহাজের ডেকে লেখা ‘মাশাআল্লাহ’। বাড়িটির মালিক কে আন্দাজ করতে পারেন? তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। এক সময় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর কাড়ে এই বাড়িটি। এখন সেই বাড়িটি নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে এই তৃণমূল নেতার প্রাসাদতুল্য বসত ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত ।
কেমন দেখতে জাহাজ বাড়ি?
বাড়িটি চারতলা। তিন তলায় টাঙানো রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। চার তলার অংশটায় জাহাজের মাস্তুল আকারের দন্ড রয়েছে। পুরো বাড়িটি ওয়ানওয়ে গ্লাস দিয়ে তৈরি। একতলা মেঝে করা থাকলেও বাকি তিনটি তলা মার্বেলে মোড়া। বাড়িটি বানাতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে খবর।
কে এই শেখ সুফিয়ান?
বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি।
সময়টা ছিল বাম আমল। সেই সময় নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন সুফিয়ান। তবে, ২০০৭ এর আন্দোলনের সময় যত না শোনা গিয়েছে তাঁর নাম, বেশি শোনা গিয়েছে আন্দেলন পরবর্তী রাজ্য-রাজনীতির পালা পরিবর্তনের পর।
এক সময় বামপন্থী ছিলেন। পরে অর্থাৎ ২০০৩ সালে দেবীশঙ্কর পণ্ডার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন।
২০০৪ সালে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি।
২০০৬ সালে নির্বাচনে দাঁড়ান। তবে ৩ হাজার ৭০০ ভোটে হারেন।
২০০৭ জমি আন্দোলনে ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০০৮ সালে জেলাপরিষদের ভূমি কর্মাধক্ষের দায়িত্ব পান।
এরপর ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । শুধু তাই নয় আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আরও একাধিক পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি ।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২১ বিধানসভা ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রীর ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে হলদিয়ায় মনোনয়ন পেশ করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই নাম ঘোষণা করেন।
কী কী সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূল নেতার?
সূত্রের খবর, তাঁর রয়েছে বেশ কিছু ট্রলার। আর এই ট্রলারই তাঁর জাহাজ বাড়ির অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি তাঁর ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে বলেও খবর।
এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “সুফিয়ান গরুর চামড়া ও গরু বিক্রি করে কর্ম জীবন শুরু করেন। এক সময় তিনি সিপিএমএর ব্লক সভাপতি ছিলেন। সেই সময় সত্তর লক্ষ টাকা চুরির দায়ে সিপিএম ওকে বিতারিত করে। সেই সুযোগে সুফিয়ান চোর হিসাবে তৃণমূলে ঢুকে ডাকাত রূপে আত্মপ্রকাশ করে। সেই আত্মপ্রকাশের বহিঃপ্রকাশ ওর জাহাজ বাড়ি। কোটি-কোটি টাকা চুরি করে এইসব বাড়ি নির্মাণ করেছেন।”
যদিও, এই বিষয়ে শেখ সুফিয়ানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যদিকে, এলাকার কেউ ‘ভয়ে’ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: Modasser Hossain: ‘কাটা তেলের’ ব্যবসায়ী থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূল নেতার ‘লাভ হাউসের’ খরচ জানেন?