Suvendu Adhikari: ‘হিন্দুরা ভোট দেবে না…’, অভিষেককে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari Challanges Abhishek Banerjee: একুশের স্মৃতি উস্কে মুখ্যমন্ত্রীকে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বহুবারই ছুড়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু এবার আর মমতা পর্যন্ত সীমিত থাকলেন না তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেকের দিকেও। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা।

Suvendu Adhikari: হিন্দুরা ভোট দেবে না..., অভিষেককে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
বাঁদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ডানদিকে শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 01, 2025 | 11:53 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: মমতার পর অভিষেক, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অভিষেককে তাঁর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। যা ঘিরে চড়ল রাজনৈতিক পারদ।

শুভেন্দুর চ্য়ালেঞ্জ

একুশের স্মৃতি উস্কে মুখ্যমন্ত্রীকে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বহুবারই ছুড়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু এবার আর মমতা পর্যন্ত সীমিত থাকলেন না তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেকের দিকেও। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা। শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘১ কোটি করে টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু মমতাকে ভোট দেয়নি। দু’টো ভোটে, দু’টো হিন্দুকে খুন করেছে ওরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করালেও এখানকার মানুষ ভোট দেবে না। যা করার করুক। এপ্রিলের পর তো আর থাকবে না ওরা।’

অবশ্য় শুভেন্দুর এই চ্যালেঞ্জকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। এদিন তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘এই সব বলে উনি নিজেই দলের মধ্যে নিজের রাজনৈতিক দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আসন্ন নির্বাচনে নন্দীগ্রামে কী ফলাফল হতে চলেছে, তা আমরা সকলেই জানি। আগের বারও মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে জিতেছিলেন। কিন্তু লোড শেডিং করে কারচুপি করেছিল ওরা।’

নন্দীগ্রামে ‘চাই’ ডায়মণ্ড হারবার মডেল

নন্দীগ্রাম থেকে অভিষেকের কাছে গিয়েছে আর্জি। শুভেন্দু-গড়েও ডায়মন্ড হারবার মডেলে স্বাস্থ্য শিবির তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছেন বহু মানুষ, এমনটাই দাবি তৃণমূল শিবিরের। ঠিক যেভাবে সেজে উঠেছে ডায়মন্ড হারবার, সেই ভাবেই নন্দীগ্রামকেও সাজানোর জন্য অভিষেকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। বিরুলিয়ার বাসিন্দা প্রদীপ মান্না তো আবার ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, ‘বিধায়ক, সাংসদ কারওর দেখা মেলে না। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে অনুরোধ করছি তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে তিনি যে পরিষেবা দিচ্ছেন, তা এখানেও দেওয়া হোক।’

অবশ্য এই সব ‘সাধারণের আবেদন’ রাজনৈতিক ভাবে আইপ্য়াক দ্বারা সাজানো বলে মত শুভেন্দুর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রদীপ মান্নাকে ভুল বুঝিয়েছিল। আমি ওকে ফোনে ধরেছিলাম। ও বলছে আইপ্যাক আমাকে শিখিয়ে এসব বলিয়েছে।’ অবশ্য শুভেন্দুর এই দাবিকে পাল্টা মিথ্যা বলেই জানিয়েছেন আবেদনকারী প্রদীপ মান্না।