এমন অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর ডিপিএসসির তরফে একটি পোস্ট করা হয়েছে তাদের ফেসবুক হ্যান্ডেলে। বলা হয়েছে, যদি কোনও পরীক্ষার্থী অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষাকেন্দ্রে বেলা ১১টার মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অফিসার ইনচার্জ এবং সেন্টার ইনচার্জ যেন তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেন। টেটের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলাশাসকের নির্দেশমতোই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
যদিও কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি পোস্টে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকায়, বিশেষ করে চণ্ডীপুর, হেড়িয়া, বাজপুল সহ বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। বহু পরীক্ষার্থী সেই যানজটের পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের এমন হয়রানির আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, এই সমস্যা শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই নয়। আরও বেশ কিছু জায়গায় এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশরাও তৎপর রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দিলে, তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু প্রান্তে রাস্তায় যানজটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পূর্ব মেদিনীপুর ডিপিএসসির তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।