Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Audio: কুণাল ঘোষের হাত থেকে উত্তরীয় পরা ‘দাদার অনুগামী’-কে দলে নিতে নিমরাজি তৃণমূল!

TMC Clash in Purba Medinipur: কার্যত এই জোড়া অডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই শোরগোল তৃণমূলের অন্দরে। যদিও, এ নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Viral Audio: কুণাল ঘোষের হাত থেকে উত্তরীয় পরা 'দাদার অনুগামী'-কে দলে নিতে নিমরাজি তৃণমূল!
সেই ভাইরাল ছবি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 11:16 PM

পূর্ব মেদিনীপুর:  ফের প্রকাশ্যে ঘাসফুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রবিবার দিঘায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) হাত ধরে তৃণমূলে ফিরেছিলেন এগরার বিজেপি নেতা জয়ন্ত সাহু। অন্তত, তেমনটাই এসেছিল প্রকাশ্যে। কিন্তু, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত সাহুর প্রত্যাবর্তনে কার্যত ‘অখুশি’ কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা নেতৃত্বের তরফে স্পষ্টই জানানো হয়েছে  জয়ন্তকে তাঁরা দলে চাইছেন না।

ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো বার্তায় কাঁথি জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি এমনটাই জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আরও একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যে অডিয়ো বার্তায় খোদ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন তিনি কাউকে দলে যোগদান করাননি। দুটি অডিয়োরই সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

ঠিক কী হয়েছিল? গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি সামনে আসে, যেখানে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জয়ন্ত সাহুকে দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে প্রচার হয়ে যায় রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের হাত ধরে জয়ন্ত সাহুর তৃণমূলে ফেরার খবর। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার এই দলে ‘প্রত্যাবর্তন’-কে কার্যত মেনে নিতে পারছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

সোমবার, সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জয়ন্ত সাহুকে কোনওভাবে দলে ফেরানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি উত্তম কুমার দাস। এমনকী,  এই যোগদানের অনুমোদন নেই বলে একটি অডিয়ো বার্তায় জানিয়ে দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি। ভাইরাল হওয়া সেই অডিয়োর সত্যতা যদিও যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

সেই অডিয়ো বার্তায় শোনা গিয়েছে, তরুণ মাইতির কণ্ঠে বলা হচ্ছে, “সোশ্যাল মিডিয়ার একটা ছবিতে আমরা দেখতে পাই, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মহাশয় তৃণমূলের একটি উত্তরীয় বিজেপি নেতা জয়ন্ত সাহু মহাশয়ের গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে আমাদের মনে হয়েছিল, রাজ্য নেতৃত্ব জয়ন্তবাবুকে আমাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করছেন। কিন্তু তাঁর এই যোগদানের ব্যাপারে আমাদের জেলা কমিটিতে কোনও আলোচনা হয়নি এবং তাঁর এই যোগদানকেও আমরা অনুমোদন দিইনি।”

অন্যদিকে, ছবি-বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কণ্ঠে একটি অডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। সেই অডিয়োটিরও সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

সেই অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে কুণাল ঘোষের কণ্ঠে সম্ভবত  সুপ্রকাশ গিরিকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, “দেখো সুপ্রকাশ, আমার খুব স্পষ্ট কথা…আমায় সৌমেনদা দুই-একজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছিলেন…আমি আমার ব্যক্তিগত সফরে দিঘায় ছিলাম…আমি সমুদ্রে স্নান সেরে ফিরছি…আমি স্নান সারা, গায়ে বালি, হাফপ্যান্ট…আমার কাছে খবর আসে আমার সঙ্গে কেউ রিসেপশনে দেখা করবেন বলে বসে আছেন…আমি যারপরনাই বিরক্ত হইছি…জাস্ট আমি সমুদ্র থেকে উঠে এসছি…আমাকে সৌমেনদা’র নাম বলে…তাই আমি দেখা করি…দুটি মাত্র লোক…আমায় বলে কিছু ফুল দেবে, আর আশীর্বাদ করে দিতে…সৌমেনদা বলার পর যে লোকটির নাম বলেছিল তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে ভাল হত না…আমি সৌজন্য রেখে উত্তরীয় দিই ও উত্তরীয় নিই..”

এখানেই শেষ নয়, কুণাল ঘোষের কণ্ঠের ওই অডিয়োতে আরও শোনা গিয়েছে, “সন্ধেবেলা ওই ভদ্রলোক আবার আসেন…তিনি কিছু উপহার নিয়ে আসেন…আমি বিরক্ত হয়ে জানাই, আমি বলি আমি এভাবে উপহার নিইনা…তিনি জোরাজুরি করলে আমি যারপরনাই বাজে ব্যবহার করে তাঁকে বের করে দিয়েছি।… এর বেশি আর কোনও রাজনৈতিক মানসিকতা নিয়ে কিছু করিনি। বাকিটা এর থেকে তোমরা বুঝে নাও।…আমার কোনও তাত্‍ক্ষণিক পদক্ষেপে দলে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হোক তা আমি চাই না।…”

কার্যত এই জোড়া অডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই শোরগোল তৃণমূলের অন্দরে। যদিও, এ নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষকে ফোন করেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পাল্টা বিজেপি শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেই তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: Daspur Drainage system: খাল কেটে কুমির এনেছে দাসপুর! সেচ দফতরের গাফিলতির জেরে জমির পর জমি বন্ধ্যা