AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha Jagannath Temple: দর্শনার্থী সমাগমে মাইলফলক স্পর্শ দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের, ৮ মাসেই পেরোল ১ কোটি

Purba Medinipur: মন্দির কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ১৫০টিরও বেশি দেশের বিদেশি পুণ্যার্থীরা এখানে ভিড় করেছেন ইতিমধ্যেই। মন্দিরের আয়েই এখন মন্দির পরিচালিত হচ্ছে। প্রণামী ও ভোগ বিক্রি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। এর ফলে মন্দিরটি সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। সাফাই, নিরাপত্তা ও সেবা মিলিয়ে ১৭০ জন স্থানীয় মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে।

Digha Jagannath Temple: দর্শনার্থী সমাগমে মাইলফলক স্পর্শ দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের, ৮ মাসেই পেরোল ১ কোটি
দিঘা জগন্নাথ মন্দিরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2025 | 10:01 PM
Share

দিঘা: সবে মাস আটেক কেটেছে। আর এই আট মাসেই দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল। উদ্বোধনের পর থেকে এক কোটি দর্শনার্থী এসেছেন এই জগন্নাথ মন্দির দেখতে। রবিবার দুপুরে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয় সমুদ্র শহর। এক কোটিতম দর্শনার্থী হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয় কাকলি জানা নামে এক শিশুকন্যাকে।

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এমনিতেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন থেকেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। পুরীর আদলে নির্মিত এই স্থাপত্যকে ঘিরে একসময় নানা বিতর্ক ও সমালোচনা হলেও ভক্তের মহাসমুদ্র সেই সব সংশয়কে ধুয়ে মুছে দিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এক কোটিতম দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা সুরজিৎ জানার শিশুকন্যা কাকলি জানাকে প্রতীকীভাবে এক কোটিতম দর্শনার্থী হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়। তাঁদের হাতে মহাপ্রসাদ, মালা ও নির্মাল্য তুলে দিয়ে বিশেষ দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।

Digha Jagannath Temple (1)

শিশুকন্যা কাকলি জানাকে প্রতীকীভাবে এক কোটিতম দর্শনার্থী হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়

মন্দির কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ১৫০টিরও বেশি দেশের বিদেশি পুণ্যার্থীরা এখানে ভিড় করেছেন ইতিমধ্যেই। মন্দিরের আয়েই এখন মন্দির পরিচালিত হচ্ছে। প্রণামী ও ভোগ বিক্রি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। এর ফলে মন্দিরটি সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। সাফাই, নিরাপত্তা ও সেবা মিলিয়ে ১৭০ জন স্থানীয় মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া হোটেল ও পরিবহণ ব্যবসায় এসেছে জোয়ার।

মন্দির ট্রাস্টের সদস্য এবং প্রধান পুরোহিত রাধারমণ দাস বলেন, “এই এক কোটি মানুষের পদধ্বনি আসলে মহাপ্রভুর প্রতি অন্তহীন ভালবাসারই প্রতিধ্বনি। এখানে সমস্ত বিভেদ মুছে গিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের এক পরমাত্মিক যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বাংলার মাটিতে গড়ে ওঠা এই দ্বিতীয় জগন্নাথ মন্দির ভক্তির আলো দেখাবে বিশ্বকে।”