পুরুলিয়া: দলেরই সদস্যের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। তাও আবার দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ। এরপরই বারো জন নির্বাচিত সদস্য পদত্যাগ করলেন। ঘটনায় রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতি কুমার। সরকারি টাকা লুটের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সহ ১২ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যা পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন পুরুলিয়া সদর মহকুমা শাসকের দফতরে।
প্রসঙ্গত, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ২১ জন। এর মধ্যে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১৯। বিজেপির রয়েছে ২ জন সদস্য। তৃণমূলের সমর্থনে সভাপতি হন কাল্লাবতি কুমার। তবে তৃণমূল সদস্য-সদস্যাদের অভিযোগ,ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে হাত করে কোটি কোটি টাকা ব্যক্তিগত স্বার্থে লুঠ করেছেন কল্লাবতি। এই বিষয়ে জেলাশাসক,মহকুমা শাসক এবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে বার বার অভিযোগ করা হলেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় তাঁরা পদত্যাগ করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বলরামপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত চৌধুরী বলেন, “নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল এবং চাওয়া পাওয়া নিয়ে সমস্যা চলছিল। যেহেতু আমার কাছে কোনও পদত্যাগ করেনি তাই বিষয়টি জেনে বলব।”
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্লাবতি কুমার বলেন, “কোনও দুর্নীতি করিনি। আমাদের সমিতি খুব ভালভাবেই চলছে। তার সব প্রমাণ আছে।” বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি ভালমণি সোরেন বলেন, “কল্লাবতি কুমার ও এখানকার বিডিও দুর্নীতি করছেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আমরা আমাদের সম্মান রক্ষা করতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলাম।”