AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder Case: সুচ ফুটিয়ে মেয়েকে খুনে দোষী সাব্যস্ত মা ও ওঝা!

Murder Case: সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যার দেহে সুচ ফুটিয়ে খুনে (Murder) দোষী সাব্যস্ত হল শিশুর মা-সহ এক ওঝা। শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

Murder Case: সুচ ফুটিয়ে মেয়েকে খুনে দোষী সাব্যস্ত মা ও ওঝা!
আদালতের পথে ওই শিশুর মা। নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 10:49 PM
Share

পুরুলিয়া: সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যার দেহে সুচ ফুটিয়ে খুনে (Murder) দোষী সাব্যস্ত হল শিশুর মা-সহ এক ওঝা। শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের। সেখানেই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রমেশ কুমার প্রধান তাদের ৩০২, ১২০ বি এবং ৩৪ ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। তবে সাজা ঘোষনা হবে আগামী সোমবার।

২০১৭ সালের ১ জুলাই। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয় তিন বছরের শিশুকন্যাকে। পরীক্ষা করে দেখা যায় তার নিম্নাঙ্গে সাতটি সুচ ঢোকানো আছে। তাকে সেখান থেকে প্রথমে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে সে বছরেরই ২১ জুলাই মৃত্যু হয় শিশুটির।

ঘটনায় পরের দিন গ্রেফতার করা হয় শিশুর মা মঙ্গলাকে। তার পর সনাতন নামে এক ওঝাকে ২৯ জুলাই উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে দেখা যায়, এই দুজনই চক্রান্ত করে শিশুটিকে খুন করেছে। কীভাবে?

জানা যায়, পুরুলিয়ার মফস্‌সল থানার ভুল সতেরো গ্রামে শিশুকন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকত মঙ্গলা। চার বছর আগে দোল উৎসবে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওই থানার নদিয়াড়া গ্রামে পরিবার সূত্রে পরিচিত সনাতনের বাড়িতে যায় সে। হোমগার্ডের চাকরি থেকে অবসরের পর ঝাড়ফুঁক ও তুকতাকে হাত পাকিয়েছিল এলাকায় ওঝা বলে পরিচিত সনাতন। স্ত্রী-র মৃত্যুর পরের বছর দোলের সময় থেকে মঙ্গলার সঙ্গে থাকতে শুরু করে সেই বৃদ্ধ। তবে দিন কয়েক যেতে না যেতেই মঙ্গলার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযোগ, জ্বর-সর্দিকাশি সত্ত্বেও শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়নি মা। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীরা শিশুটিকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গণ্ডগোল শুরু হয়।

এদিকে খবর পেয়ে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই সনাতনের বাড়ি থেকে অসুস্থ শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। জেলার সদর হাসপাতালে এক্স-রে করে দেখা যায়, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সাতটি সুচ ফুটে রয়েছে। এর পর শিশুটিকে প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সে বছরের ১৮ জুলাই এসএসকেএমে শিশুটির অস্ত্রোপচার করেও শেষরক্ষা হয়নি। ২০ জুলাই মারা যায় শিশুটি।

এই মৃত্যুর পরের দিন গ্রেফতার করা হয় শিশুর মা মঙ্গলাকে। আর সনাতনকে ২৯ জুলাই উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে দেখা যায় এই দুজনই চক্রান্ত করে শিশুটিকে খুন করেছে। সেবছরই ১৭ সেপ্টেম্বর সাড়ে পাঁচশ পাতার চার্জশিট দেয় পুলিশ। শুরু হয় কেসের শুনানি। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলায় মা ও ওঝাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত চন্দনা, হিংসা তদন্তে আরও একটি মামলা দায়ের CBI-র