পুরুলিয়া: নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। গ্রেফতার হয়েছিলেন অনেক আগেই। শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন সেনা কর্মী। ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পুরুলিয়া জেলা আদালত। ঘটনার সূত্রপাত পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে নাবালিকার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ওই সেনা কর্মীর। ঝামেলা এতটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায় যে নাবালিকা ও নাবালিকার মাকেও ওই সেনা কর্মী ব্যাপক মারধর করেন। আর তখনই নাবালিকার জামা-কাপড় ছিঁড়ে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায়।
২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১৭ তারিখ বান্দোয়ান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নাবালিকার মা। তারপরই মাঠে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মীকে গ্রেফতারও করে বান্দোয়ান থানার পুলিশ। ১৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক। তারপর থেকেই চলছিল মামলা।
সেই মামলাতেই হল রায় ঘোষণা। বুধবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে মামলা চলাকালীন মোট ১২ জন এই কেসে সাক্ষী হিসাবে কোর্টে হাজির হয়েছিলেন। সব পক্ষেরই সওয়াল জবাব শেষে দোষীর ৫ বছরের সাজা দেয় আদালত। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ। বিশেষ সরকারী আইনজীবী রবি শংকর ত্রিপাঠী বলছেন, কোর্টের রায় হয়েছে। পকসো ছাড়াও আরও একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল ওই ব্যক্তির নামে। বিচারক সবদিক খতিয়ে দেখেই ৫ বছরের সাজা দিয়েছেন।