Purulia: বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন কাণ্ড দেখে বেজায় খুশি তৃণমূল! এমন কী হল?
Purulia: যদিও অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, সেটা যে তার সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান। তিনি উল্টে দোষারোপ করেন দলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। তিনিও দলের কিছু নেতা চাপ দিয়ে ফায়দা তোলে। পরে শোকপিট করে দেব বলে অর্ধেক বিল পেমেন্ট করেছে নির্মাণ সহায়ক। তবে তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন সে কথা বলেন।

পুরুলিয়া: গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে চাপ দিয়ে টেন্ডার বাতিল করানোর অভিযোগ।ভাইরাল হওয়া অডিয়ো সামনে আসতেই প্রধানকে শোকজ করল পুরুলিয়া সদর মহকুমা শাসক। বিজেপি পরিচালিত পুরুলিয়া ২নম্বর ব্লকের রাঘবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। শোকজের উত্তর জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এপ্রিল মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কয়েক লক্ষ টাকার একটি টেন্ডারের নোটিস করে পঞ্চায়েত। বেশ কয়েকজন আবেদনও করে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে টেন্ডার খোলার দিন থাকলেও খোলা হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, সঞ্চালকরা রেজুলেশন করে সেই টেন্ডার বাতিল করা হয়। তা নিয়ে দলের যুব সভাপতির ফোনে একটি কথোপকথনও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে শোনা যাচ্ছে বিজেপির যুব সভাপতি প্রধানকে টেন্ডার না খোলার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, এই বছরের গোড়ার দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল খননের টেন্ডার পাওয়া এক ঠিকাদার কোনও কারণে কাজ না করতে চাওয়ায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন উপপ্রধান।
বেশ কিছুদিন ধরে এই পঞ্চায়েতে দুর্নীতি যে হচ্ছে সেকথা ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন উপপ্রধান। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েতের কর্মীরা এমনই অভিযোগ উপপ্রধান সহ দলের যুব সভাপতির। অভিযোগ, তাঁরাই পঞ্চায়েতের দেওয়া প্ল্যান বদল করে নিজেরাই প্ল্যান জমা করেন। ঠিকাদাদের সঙ্গে সেটিং করে কাজ করেন এই পঞ্চায়েতের কর্মীরা। এই ক্ষেত্রে প্রধানের লেখাপড়া না জানাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। ঠিকাদারকে হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
যদিও অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, সেটা যে তার সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান। তিনি উল্টে দোষারোপ করেন দলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। তিনিও দলের কিছু নেতা চাপ দিয়ে ফায়দা তোলে। পরে শোকপিট করে দেব বলে অর্ধেক বিল পেমেন্ট করেছে নির্মাণ সহায়ক। তবে তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন সে কথা বলেন।
দলের যুব সভাপতি সুবর্ণ পাঠক বলেন, “আমাদের প্রধানকে কেউ চক্রান্ত করে ফাঁসাতে না পারে তার জন্য আমাকে দল দেখার দায়িত্ব দিয়েছে। পঞ্চায়েত কর্মীরাই যে দুর্নীতি করছে তার একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। প্রধান ইংরেজি জানাকে হাতিয়ার করেছেন।”
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর বক্তব্য, ” শুধু তৃণমূলের দিকে অভিযোগ করে বিজেপি, নিজেদের গ্রামপঞ্চায়েতে কীভাবে দুর্নীতি চলছে, সেটা দেখুক। ঠিকাদারকে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দলের নেতারা পঞ্চায়েতের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। পছন্দমত ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এসডিও শোকজ করেছেন। সরকারি কর্মচারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে।”
পুরুলিয়া সদর মহকুমা শাসক উৎপলকুমার ঘোষ বলেন, ” কী কারণে টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। তার জন্য শোকজ করা হয়েছে শোকজের জবাবও দিয়েছেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এদিকে সকাল ১০টা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে কর্মীদের আসার কথা থাকলে অফিসে কেউ না আসায় সাধারণ মানুষ হায়রানির শিকার হচ্ছেন।
