Mother Son Death: ঘরের জানলা খোলা, হাওয়ায় পর্দা উড়ছিল, মা ও ছেলেকে দেখে স্থবির হয়ে গেলেন প্রতিবেশীরা
Purulia Suicide: প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গৌতম ছোটখাটো কাজ করেই সংসার চালাতেন। মা ও স্ত্রী আর সন্তান। এই ছিল সংসার। তবে আর্থিক অনটন হোক কিংবা অন্য কোনও কারণ, ওই পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুটি ঘরের জানলা খোলা। খাট ফাঁকাই ছিল। ফ্যান বন্ধ। জানলার পর্দা হাওয়ার উড়ছে। প্রতিবেশীদের চোখ জানলার ফাঁক দিয়ে পড়েছিল মাটিতে। কিছুক্ষণের জন্য স্থবির হয়ে যান তাঁরা। একটা ঘরে পড়ে রয়েছে বছর সত্তরের মায়ের দেহ। আর ঠিক তার পাশের ঘরেই পড়ে ছেলে। ডাকাডাকিতে সাড়া মেলেনি তাঁরও। ঘরের দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ। অতঃপর বিপদ আঁচ করেই থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে মা ও ছেলের নিথর দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরে কোদলিয়াতে। মৃতদের নাম তপতী পুরকাইত (৭০) ও গৌতম পুরকাইত (৪৫)।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গৌতম ছোটখাটো কাজ করেই সংসার চালাতেন। মা ও স্ত্রী আর সন্তান। এই ছিল সংসার। তবে আর্থিক অনটন হোক কিংবা অন্য কোনও কারণ, ওই পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় মিটত পারিবারিক বিবাদ। কখনও আবার একান্তই পারিবারিক বিষয় ভেবে ঝামেলায় বিশেষ আমল দিতেন না প্রতিবেশীরা।
কিছুদিন আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন গৌতমের স্ত্রী। বেশ কিছুদিন সেখানেই ছিলেন তিনি। গৌতম তাঁর মাকে নিয়ে থাকতেন। রান্নাবান্না নিজেরাই করতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মাঝে গৌতম স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। কিন্তু এমন কখনও করে বসতে পারেন, প্রতিবেশীরা তা কখনও ভাবেননি।
মানসিক অবসাদের কথা প্রতিবেশীদের মাঝেমধ্যে বলেছেন গৌতম। স্ত্রী চলে যাওয়ায় একাকীত্বে ভুগছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীরা গৌতমের স্ত্রীর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তা শুনেই তাঁরা গৌতমের বাড়িতে আসেন। দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দুটি ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মা ও ছেলে।
সোনারপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। সেক্ষেত্রে গৌতম মাকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। এক প্রতিবেশী বলেন, “ওই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। আমরা মাঝেমধ্যে মিটিয়ে দিতাম। একান্ত পরিবারের ঝামেলা। তবে নিত্য অশান্তিতে যে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন গৌতম, তা মাঝেমধ্যে জানাতেন আমাদের। কিন্তু এমনটা করতে পারেন, মনে হয়নি।”
আরও পড়ুন: শুধুই দলের প্রচার! কোনও ব্যক্তি প্রচার নয়… সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি মমতার
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর প্রচারে বাধা, তুমুল উত্তেজনা, আহত হয়ে হাসপাতালে সুপ্রকাশ গিরি