Ramnavami: রামনবমীতে ছুটি নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত বড় হিন্দুত্ববাদী বোঝা গেল: দিলীপ ঘোষ
Ramnavami: বিজেপির প্রশ্ন, সবেতে ছুটি থাকলে, রামনবমীতে নেই কেন? এই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন বিজেপির সর্ব ভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে রামনবমীর মাহাত্ম্য বুঝতে পারছেন বঙ্গবাসীরা।
হাওড়া: রামনবমীতে রাজ্যে ছুটি নেই, বোঝাই যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা হিন্দুত্ববাদী। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রামনবমীতে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত বঙ্গে । মধ্য হাওড়ার রাম সেনানির পক্ষ থেকে এক মিছিলে অংশ নিতে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিল শেষে ঐতিহ্যবাহী হাওড়া রামরাজাতলা রাম মন্দিরে পুজো দেন তিনি । সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “গোটা দেশে যেখানে ঐতিহ্যবাহী রামনবমী পালন করা হয়, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে রামনবমীর জন্য ছুটি ঘোষণা করেন না, এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা হিন্দুত্ববাদী।” ঠিক এখানেই উল্লেখ করা যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে বলা একটি কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ইদে আমরা ছুটি দিই, মতুয়া ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মা, আম্বেদকরের জন্মদিনে ছুটি দিই। আমরা সব কিছুতে ছুটি দিই, আর কোনও রাজ্য নেই, যেখানে এত ছুটি দেওয়া হয়।” কিন্তু এখানেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
বিজেপির প্রশ্ন, সবেতে ছুটি থাকলে, রামনবমীতে নেই কেন? এই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে রামনবমীর মাহাত্ম্য বুঝতে পারছেন বঙ্গবাসীরা। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এবছরও রাজ্য জুড়ে পাঁচশোরও বেশি মিছিলের আয়োজন করছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। আলাদাভাবে মিছিল করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বেশ কিছু মিছিলে থাকবেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও।
বালুরঘাটে রামনবমীর একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম, হাওড়ার রামরাজাতলা ও মৌলালির রামলীলা পার্কে মিছিলে অংশ নেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রামনবমীর মিছিল থেকে কোথাও কোনও অশান্তি হলে, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমরা সবাই রাম সমাজের লোক। আমাদের মিছিল থেকে কোথাও কোনও অশান্তি হবে না। যদিও কোথাও এরকম কোনও খবর পান, তাহলে মনে করবেন, এটা তৃণমূলের প্ল্যানিং। পরিকল্পনা করে সাগরদিঘির হারের পর মুসলিম সমাজকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা।”