Nadia: পঞ্চায়েত সভাপতির ভাইয়ের তোলাবাজির প্রতিবাদে পথ অবরোধ, উল্টে অবরোধকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ মন্ত্রীর
Nadia : খোদ পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ চলল পথ অবরোধ।
ভাতজাংলা : খোদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ। এমনকী তার শাস্তির দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন এলাকার মানুষ।পড়ে ওই পঞ্চায়েতের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস দাবি করেন, এফসিআই গোডাউনের মাল ওঠা-নামার জন্য পয়সার ধান্দা করার জন্য প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ চলছে।পুলিশ সুপারকেও ফোন করে নির্দেশও দেন দ্রুত অবরোধকারীদের মাথাদের গ্রেফতার করার জন্য। তাঁর এই ধরনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতোর।
এদিন এলাকার তৃণমূল নেতা খোকন মন্ডলের ভাই ও তার অনুগামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পথে নামতে দেখা যায় ভাতজাংলার স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের ভাই দিলীপ,সুবোধ এবং তার অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রায়শই সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালায়।বিগত কয়েক দিনে কয়েকজন লোকের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছে তারা। রয়েছে তোলাবাজির অভিযোগও। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এলাকায় তাস খেলছিল। সেই সময়ে পিছন থেকে তাদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় দিলীপ ও সুবোধের দলবল।
এই ঘটনার পরেই আহত ২ জনকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। কতদিন চলবে এই ‘দাদাগিরি’? ফের নতুন করে সেই প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার শ্রমিকরা। দিলীপ এবং সুবোধের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার তোলাবাজির অভিযোগ এনেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কাজকর্মে যুক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ বলতে গেলেই মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের নাম নিয়ে ভয় দেখানো হয়।এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। দিতে হবে উপযুক্ত শাস্তিও। সমাজ বিরোধীদের তাড়াতে হবে ভাতজাংলা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে।এদিকে এদিনের পথ অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।