AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বিজেপিতে আসুন, সম্মান দেব’, শিশিরকে আহ্বান দিলীপের

ভবিষ্যতে তাঁর পদক্ষেপ কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরেও অভিজ্ঞ নেতার বক্তব্য "কিছু জানি না।"

'বিজেপিতে আসুন, সম্মান দেব', শিশিরকে আহ্বান দিলীপের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jan 14, 2021 | 8:08 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু গিয়েছেন বিজেপিতে। পদ্ম শিবিরে শুভেন্দু যাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরে কার্যত বেকায়দায় পড়েছে অধিকারী পরিবার। ক্রমেই শাসক শিবিরের ক্ষমতা কাঁথি থেকে হস্তান্তরিত হচ্ছে রামনগরে। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বারবার নাম উঠে আসছে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির। মঙ্গলবারই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে শিশির অধিকারীকে। এরপর বুধবরা কেড়ে নেওয়া হল জেলা সভাপতির পদ।

পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে এত কাল তৃণমূলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন শিশির অধিকারী। এবার নতুন জেলা সভাপতির পদে বসলেন সৌমেন মহাপাত্র। শিশির পেয়েছেন জেলা চেয়ারম্যানের পদ। শুভেন্দুর দলত্যাগের পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করতে যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভারও মূল আয়োজক ছিলেন অখিল গিরি, যিনি জেলায় ‘অধিকারী বিরোধী’ বলেই পরিচিত। শিশির অধিকারীর খাসতালুক কাঁথিতে তৃণমূলের সভা হলেও এর মধ্যে দেখা মেলেনি শিশিরের।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা সব থেকে বেশি গরিব এবং অশিক্ষিত: দিলীপ ঘোষ

বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় ক্রমেই দলে কোণঠাসা হচ্ছে অধিকারী পরিবার। শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুও বিজেপির পতাকা ধরেছেন। এমতাবস্থায় কেড়ে নেওয়া হল শিশির অধিকারীর পদ। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কাঁথির সাংসদ TV9 বাংলাকে বলেন, “কোনও খবর নেই। কোনও প্রতিক্রিয়াও নেই।” ভবিষ্যতে তাঁর পদক্ষেপ কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরেও অভিজ্ঞ নেতার মন্তব্য, “কিছু জানি না।”

জেলা সভাপতি পদ থেকে শিশির অধিকারীর নাম বাদ পড়ার পরই তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, “শিশির বাবুকে অপদস্থ করেছেন দিদি। এমন অপমান করেছেন যেন বিজেপি চলে আসতে বাধ্য হযন শিশিরবাবু। আমরা বলছি কেন ঘুরছেন , বিজেপিতে আসুন। সন্মান দেব। কোনও ভদ্রলোক টিএমসিতে থাকতে পারে না।”

বাবা তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর শুভেন্দু বলেছেন, “দেড় জনের কোম্পানিতে যাঁরা কর্মচারী হিসাবে কাজ করতে চাইছেন না তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আমার রাজনৈতিক চলার পথ পরিবার ঠিক করে দেয় না। আমার বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি।”